
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর চব্বিশ পরগনা: পানিহাটি পৌরসভায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা, খড়দহ ও কামারহাটি থানার যৌথ উদ্যোগে চালানো গোপন অভিযানে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ দেশি ও বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ এবং গুলি। অভিযুক্ত কুখ্যাত দুষ্কৃতি নয়িম আলি ওরফে ‘নেপালি’ বর্তমানে পলাতক। সূত্রের দাবি, তিনি পানিহাটি পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বনাথ দের ঘনিষ্ঠ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার গভীর রাতে পানিহাটি পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত নেপালির বাড়িতে হানা দেয় দুই থানার আধিকারিকেরা। দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবসার অভিযোগ থাকলেও এতদিন পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আচমকা অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেপালির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক পিস্তল, রিভলভার, সেমি-অটোমেটিক আগ্নেয়াস্ত্র, পাশাপাশি প্রচুর কার্তুজ ও তাজা গুলি।
প্রসঙ্গত, নেপালিকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরেই নানা অভিযোগ ছিল এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই জানান, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সে এতদিন রক্ষা পেয়ে এসেছে। প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং এই প্রসঙ্গে বলেন , “নেপালি বহুদিন ধরেই অস্ত্র ব্যবসায় যুক্ত। পুলিশ এতদিন কেন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, সেটাই বড় প্রশ্ন।”
এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক নেপালি ও তার সহযোগীরা। কোথা থেকে এত বিপুল অস্ত্র এল, তার সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই অস্ত্র মজুতের পিছনে বড় কোনও চক্র জড়িত থাকতে পারে। ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গায় চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে।
অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় শাসক দলের অন্দরেও চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিরোধীরা দাবি তুলেছে, শাসক দলের ছত্রচ্ছায়াতেই এই দুষ্কৃতীরা মাথাচাড়া দিচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।