
ওঙ্কার ডেক্স : একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রবল হাওয়া তুলে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি বিজেপি। ২০০ আসনের ডাক দিয়ে ঝুলিতে এসেছিল মাত্র ৭৭ টি আসন। তাই এবার ২৬ শে হিন্দু ভোট এক কাট্টা করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি। বিজেপির বহু পরীক্ষি হিন্দুত্বের অস্ত্রে শান দিচ্ছে গেরুয়া ব্রিগেড। বঙ্গ বিজেপি যে হিন্দুত্বের ট্রাম কার্ডে ভর করে ২৬ শের ভোট বৈতরনী পার করতে চাইছে তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর কথা বার্তায়, হাভেভাবে। এবার তার প্রতিফলন দেখা গেল বাঁকুড়ায় দেওয়ালে দেওয়ালে। হিন্দুত্বের বার্তায় ছয়লাপ দেওয়াল। বাঁকুড়া ১ নম্বর ব্লকে দেওয়াল লিখনে হিন্দুত্ব নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ ছত্রে ছত্রে। এবার কোন রাখঢাক রাখছে না বিজেপি। একেবারে সরাসরি হিন্দুত্বে বুলি আওড়ে রাজ্যের ৭০ শতাংশ হিন্দু ভোট ব্যাঙ্ককে টার্গেট করছে সুকান্ত শুভেন্দুরা। বিধানসভা অধিবেশন থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, সব ক্ষেত্রেই হিন্দুত্বের কথা বলে কোমর বাঁধছে বিজেপি। স্থানীয় বিজেপির দাবি, ধর্ম নিয়ে তৃণমূলের তোষণ-নীতির প্রতিবাদেই এই প্রচার কর্মসূচি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট এবং ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলায় ভাল ফল করেছিল বিজেপি। কিন্তু পঞ্চায়েত, পুরসভা এবং ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে অনেকটাই জমি হারিয়েছে তারা। তৃণমূল অবশ্য এ নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নয়। অন্যদিকে বামেদের অভিযোগ, এই দুই দলই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে। মানুষের কথা ভাবার দরকারই মনে করে না তারা।
বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে ‘মোল্লাদের সরকার’ বলে কটাক্ষ করেন, তখন থেকেই বোঝা গিয়েছিল, শুভেন্দুরা একেবারেই মুসলিম ভোটকে তোয়াক্কা করছে না। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে এই হিন্দু-মুসলিম ভোট ভাগাভাগি করেই নন্দীগ্রাম জয় হাসিল করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই এমনটা মনে করেন। এবার সেই হিন্দুত্বের ইস্যু সামনে রেখেই ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিজেপি।