
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা: দলীয় বিধায়কদের কড়া হাতে শাষণ করতে চাইছে তৃণমূল। সম্প্রতি হুইপ অমান্য করে বাজেট অধিবেশনে গরহাজির অভ্যন্তরীণ অভিযোগ উঠেছে মনোজ তিওয়ারি-সহ তিরিশের বেশি বিধায়কের বিরুদ্ধে। তাদের সকলকেই তলবের প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল। ইদের ব্যস্ততা মিটতেই আবার বিধায়কদের কাছে জবাবদিহি চাইতে উদ্যোগী হয়েছে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। কমিটিতে রয়েছৈন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও নির্মল ঘোষ ছাড়াও, পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
দলীয় নির্দেশ অমান্য করে বিধানসভার অধিবেশনে অনুপস্থিত থাকা মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি-সহ, সদ্যসমাপ্ত বাজেট অধিবেশনের শেষ দু’দিন দলীয় হুইপ অমান্য করে যে সব বিধায়ক অনুপস্থিত ছিলেন, তাঁদের সকলকেই হাজিরা দিয়ে জবাবদিহি করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
গত মাসের ১৯-২০ তারিখে বিধানসভার অধিবেশনে তৃণমূল বিধায়কদের উপস্থিতি ‘বাধ্যতামূলক’ করতে তিন লাইনের লিখিত হুইপ জারি করেছিলেন শাসকদলের মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ। ১৯ তারিখ তৃণমূল সুপ্রিমো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধিবেশনে যোগদানের কারণে বেশির ভাগ বিধায়কই অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তবে সে দিনও জনা দশেক বিধায়ক গরহাজির ছিলেন বলেই তৃণমূল পরিষদীয় দল সূত্রের খবর। আর অধিবেশনের শেষ দিন সেই অনুপস্থিতির সংখ্যা বেড়ে ৩০-এর উপর গিয়েছিল।
দলীয় হুইপ অমান্য করার বিষয়টি নজরে আসায় বৈঠকে বসেন তৃণমূল পরিষদীয় দলের মুখ্যসচেতক নির্মল এবং পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বৈঠকে আলোচনাসাপেক্ষে ঠিক হয়, তৃণমূল পরিষদীয় দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি অনুপস্থিত বিধায়কদের তালিকা তৈরি করে তাঁদের কমিটির সামনে সশরীরে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেবে। কমিটির সামনে হাজির হয়ে নিজেদের অনুপস্থিতির কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে ওই বিধায়কদের। অনুপস্থিত বিধায়কদের তালিকা তৈরির পাশাপাশিই স্পিকারের কাছে কারা আগে থেকে ছুটির আবেদন জানিয়েছিলেন, সেই বিষয়টিও জানতে চেয়েছিল পরিষদীয় দল। সেই তালিকা অনুযায়ী এ বার অনুপস্থিত মন্ত্রী-বিধায়কদের ডাকা শুরু করবে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি।
প্রসঙ্গত, ওই ৩০ জনের বেশি তৃণমূল বিধায়কের মধ্যে একমাত্র মন্ত্রী মনোজকে ডেকে পাঠানো হলেও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকারী শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী। কারণ, মনোজ মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী।