
ওঙ্কার ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে শোরগোল পড়েছে। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের শিক্ষা সংক্রান্ত রিপোর্টে কিছু উদ্বেগজনক তথ্য ধরা পড়েছে। এই রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের অধীনে থাকা ডিপার্টমেন্ট অব স্কুল এডুকেশন অ্যান্ড লিটারেসি।
সূত্রের খবর, ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে পড়ুয়াহীন সরকারি স্কুলের নিরিখে শীর্ষে বাংলা। একজনও ছাত্রছাত্রী নেই এমন স্কুলের সংখ্যা বাংলায় ৩,২৫৪টি। এরপরই স্থান আম আদমি পার্টিশাসিত পাঞ্জাবের। পাঞ্জাবের একজনও পড়ুয়া নেই এমন স্কুলের সংখ্যা ২,১৬৭টি। এরপর এক্ষেত্রে তৃতীয় স্থানাধিকারী তেলেঙ্গানা।
সূত্রের খবর, একজনও পড়ুয়া নেই পশ্চিমবঙ্গের যে স্কুলগুলোতে, সেই স্কুলগুলোতে শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ১৪ হাজার ৬২৭জন। একজন করে শিক্ষক রয়েছেন যে স্কুলগুলোতে এমন স্কুলের সংখ্যা ৬,৩৬৬জন। এদিকে এই স্কুলগুলোতে পড়ুয়ার সংখ্যা ২ লক্ষ ৪৮ হাজার ৬৯৬জন।
এপ্রসঙ্গে সিলেবাস কমিটির উপদেষ্টা সুমিত চক্রবর্তী বলেছেন, স্কুলশিক্ষা নিয়ে জটিলতা আছে। জটিলতা কাটলে সমাধানসূত্র মিলবে। আদালত এবং সরকারপক্ষের মাধ্যমে সমাধান সূত্র বেরোবে মনে করছি।
এছাড়াও রয়েছে আরও উদ্বেগজনক তথ্য। কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রের খবর, ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক স্তরে পশ্চিমবঙ্গে স্কুলছুটের হার ছিল ৫.২০ শতাংশ। এরপর ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক স্তরে পশ্চিমবঙ্গে স্কুলছুটের হার ছিল ১২ দশমিক ০১ শতাংশ। একারণ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা।
বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকারি রিপোর্ট নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট যে নির্ভুল একথা হলফ করে বলতে পারছি না। স্কুলছুটের হার কেন বাড়ছে, এব্যাপারে ব্রাত্য বসুর বক্তব্য, নবম এবং দশম শ্রেণিতে পড়ুয়ারা মিড-ডে মিল পায় না। এর ফলে স্কুলছুটের হার বাড়তে পারে। অন্যদিকে, সিলেবাস কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার বলেছেন, নবম শ্রেণিতে ওঠার পরে পড়ুয়ারা বেসরকারি স্কুলের দিকে ঝুঁকছে। এর জেরে এই পরিস্থিতি।
এদিকে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন বাংলা সবচেয়ে নিরাপদ রাজ্য। এদিকে বাংলার শিক্ষা, সংস্কৃতি মমতার আমলে ধ্বংসের মুখে।