
অপরূপা কাঞ্জিলাল: মনের মানুষ বিয়ের পিঁড়িতে। কেঁদে চোখ ফুলিয়েছিলেন প্রকাশ! দীপিকা পাড়ুকোনের কথা শুনে অবাক সকলে।
ব্যাপারটা ঠিক কি?
দীপিকা পাড়ুকোন এর বাবা প্রকাশ পাড়ুকোন, বিখ্যাত টেনিস তারকা। তিনিই ঘটিয়েছিলেন এমন এক কান্ড যে কি বলবেন ভেবে পাননি তার স্ত্রী এবং মেয়ে। আর এই কথা মেয়ে দীপিকা পাড়ুকোন বলেন সেই মানুষটিকে যিনি কিনা এই ঘটনার কারণ। ব্যাস লজ্জায় লাল হয়ে অপ্রস্তুত পরিস্থিতি।
দিনটা ১৭ অক্টোবর, ১৯৯৯। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ-শল্য চিকিৎসক ডা. শ্রীরাম নেনের গলায় মালা দেন “মোহিনী” মাধুরী দীক্ষিত। সে খবর যে কত জনের হৃদয় ভেঙেছিল, সে হিসাব নেই। কিন্তু যে খবর সামনে এসেছে তা হলো প্রকাশ পাড়ুকোন নাকি মাধুরীর বিয়ের খবরে বাথরুমে ঢুকে হাউ হাউ করে কেঁদেছিলেন। এ কথা ফাঁস করেছেন তার মেয়ে তথা জনপ্রিয় বলি ডিভা দীপিকা নিজেই।
এক সাক্ষাৎকারে মাধুরীর মুখোমুখি হয়েছিলেন দীপিকা। বাবার কান্নাকাটির গল্পটা হাসতে হাসতে দীপিকাই বলেছিলেন তাকে। মাধুরীর বিয়ের খবর যেদিন প্রকাশ্যে এলো, প্রকাশ সকালের কাগজ পড়া থামিয়ে স্নানঘরে ঢুকে গিয়েছিলেন দ্রুত।বেশ কিছুক্ষণ পার হয়ে যেতে তারা দরজায় ধাক্কা দিতে শুরু করেন। পরে তার বাবা বেরিয়েছিলেন এক সময়ে। কেঁদে কেঁদে চোখ লাল। তা দেখে দীপিকার মা নাকি অবাক হয়ে বলেছিলেন, “চোখ তো ফুলে ঢোল! ভেতরে বসে কাঁদছিলে নাকি?” পরে দীপিকা এক সাক্ষাৎকারে মাধুরীর মুখোমুখি হলে তাকে বলেন, “তোমার প্রেমে পাগল ছিল বাবা”। সব শুনে ‘চন্দ্রমুখী’র গাল লজ্জায় রাঙা। কী বলবেন, হাসবেন না কাঁদবেন, তা নাকি বুঝেই উঠতে পারছিলেন না মাধুরী! গত ১০ জুন ৬৭ বছরে পা দিয়েছেন প্রকাশ পাড়ুকোন। “সাজান” সিনেমার অভিনেত্রী মাধুরীর প্রতি আপনাদেরও কি এমন ভালোবাসা ছিল? তাহলে হয়তো এই মুহুর্ত আপনাকেও নস্টালজিক করে তুলবে।