
গোপাল শীল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : শেখ শাহজাহান. যেই নামটা শুনলেই থরথর করে কাঁপতো সন্দেশখালি, সেই শাহজাহান আজ জেলে. যার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে. মামলা চলছে আদালতে. যার মধ্যে অন্যতম প্রদীপ মণ্ডল খুনের মামলা. প্রদীপের ছেলে নজরকাড়া রেজাল্ট করেছে উচ্চ মাধ্যমিকে. এবার বদলা নিতে চায় প্রদীপ-পুত্র. নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে নয়, আইপিএস হয়ে শাস্তি দিতে চায় শাহজাহান এবং তার বাহিনীকে.
২০১৯ সালে সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শাহজাহানের লোকজনদের হাতে খুন হন প্রীতমের বাবা প্রদীপ মণ্ডল, এমনটাই অভিযোগ তার স্ত্রী পদ্মা মন্ডলের। প্রদীপ ছিলেন আরএসএস এবং ভারতীয় জনতা পার্টির সক্রিয় সদস্য। পদ্মার অভিযোগ, শুধু প্রদীপ নন, একই পরিবারের তিন তিনজন খুন হয়েছিলেন দুষ্কৃতীদের হাতে.
বিজেপির মহিলা মোর্চার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ্মা মণ্ডল জানান, স্বামী খুন হওয়ার পরই দুই ছেলেকে বুকে জড়িয়ে সন্দেশখালি ছাড়তে বাধ্য হন তিনি. তাঁর সংযোজন, ‘বাবাকে খুন হতে দেখেছে প্রীতম. দেখেছে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা. তাই ওর এখন লক্ষ্য, আইপিএস হওয়া’.
বাবার খুনীদের শাস্তি দিতে জান লড়িয়ে দিচ্ছেন প্রীতম. তিনি বলেন, ‘সন্তানের সবথেকে বড় দায়িত্ব হচ্ছে মা-বাবাকে সুস্থ রাখা. জীবনের প্রথম লড়াইতে হেরে গেছি, বাবাকে বাঁচাতে পারিনি. তখন থেকেই জানি, লড়াই করতে হবে’.
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি. রাজ্যের আঙিনা ছাড়িয়ে শাহজাহানের কীর্তির জাতীয রাজনীতির চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতেও ছিল বেশকিছু দিন. সন্দেশখালির একদা বোতাজ বাদশা, যে তার বাবাকে কেড়ে নিয়েছিল, ঘরছাড়া করেছিল গোটা পরিবারকে, তাকে শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর প্রীতম.