
প্রদীপ মাহাত , পুরুলিয়া: ঘন ঘন চেয়ারম্যান বদলের ফলে অনাস্থার ইতিহাস তৈরী করেছে ঝালদা পুরসভা। যার ফল স্বরূপ থমকে রয়েছে পুর উন্নয়ন। মাথার ওপর পাকা ছাদ পাওয়ার আশায় ঘর ভেঙে ফেলেছিল বহু মানুষ। কিন্তু পাকা ছাদ তো দূর, এখন ফাঁকা আকাশে রাত কাটাচ্ছেন অনেকেই। কেন্দ্র সরকারের বরাদ্দ অর্থ থেকে বঞ্চিত উপভোক্তারা। কারো অর্ধ সমাপ্ত ঘর কারো আবার ঘর সম্পূর্ণ হলেও তৈরী হয়নি ছাদ। কেউ আবার দীর্ঘদিন ত্রিপলের ছাউনি দেওয়া ঘরে থেকে সেই ঘরও ভেঙে ফেলেছেন, তবুও এখনো তৈরি হয়নি ঘর। এখন তাদের বসবাসের জায়গা হয়েছে স্কুলের বারান্দায় বা অন্যের আশ্রয়, কেউ বা আবার ন্যূনতম ভাড়ায় কোনক্রমে মাথা গুঁজে রয়েছেন। আর এমনি করুণ দৃশ্য দেখা যাচ্ছে ঝালদা পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে। এই বিষয় পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা কংগ্রেসের ঝালদা শহর কার্যকরী সভাপতি বিপ্লব কয়ালের দাবি, যখন অনাস্থার আবহ তৈরি হয় সেই সময় নাকি “হাউস ফর অলের” টাকা ফেরৎ পাঠানো হয়েছে। ২০২০-২১ আর্থিক বছরে প্রায় ২ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা ফেরৎ পাঠানো হয়েছে বলে জানতে পেরেছি ”।
যদিও বিপ্লব কয়ালের এই অভিযোগ মানতে নারাজ ঝালদা শহরের তৃণমূল নেতা তথা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস সেন। তিনি বলেন, আমাদের আগের চেয়ারম্যান সমস্ত টাকার কাজ করে গেছেন। কংগ্রেসের নতুন করে টাকা আনার ক্ষমতা নেই বলেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ আনছে। তবে ঝালদা পৌরসভার ঘন ঘন চেয়ারম্যান বদলের রেকর্ড তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন।
তবে দীর্ঘদিন ঘর না পেয়ে সমস্যায় ঝালদা শহরের বহু গরিব মানুষ। তাদের দাবি পাকা ঘর পাওয়ার আশায় ঘর ভাঙতে হয়েছে। কোনো কোনো ঘর শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত তা অর্ধ সমাপ্ত। বাধ্য হয়ে স্কুলের বারান্দায়, ভাড়া ঘর,কিম্বা অন্যের বাড়িতে রাত কাটাতে হচ্ছে। এভাবে কতদিন ? পৌরসভা তাড়াতাড়ি ঘরের কাজ সম্পূর্ণ করুক।
গরীব মানুষের ঘর তৈরি করা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে তরজা চলছেই।কিন্তু সাধারণ দরিদ্র মানুষগুলো মাথার উপর ছাদ কবে পাবে,সেটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন।