
জয়ন্ত সাহা, আসানসোল : রানীগঞ্জ সোনার দোকানে ডাকাতি কাণ্ডের মূল চক্রি সনু সিং ধরা পড়ার পর ,পুলিশের সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তায় জানা গেছে একাধিক চাঞ্চল্য কর তথ্য।সোনু জানিয়েছে বিভিন্ন জায়গায় রেকি করলেও রানীগঞ্জকেই বেছে নিয়েছিল কারণ প্রচন্ড গরমে বেলা বারোটার পর এখানকার বাজার রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৯ জুন রবিবার বেলা সাড়ে বারোটায় তারা ডাকাতি শুরুও করেছিল। কিন্তু ডাকাতি শুরু করার দু মিনিটের মাথায় পুলিশ গুলি চালাতে শুরু করবে এটা তারা ভাবতেই পারেনি। এদিকে শ্রীপুর ফাঁড়ির ওসি মেঘনাদ মন্ডলের অভ্রান্ত নিশানায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সনু এবং তার দুই সঙ্গী ঝাড়খণ্ডের কৈরিডিহি জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়েছিল। কিন্তু ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে গুলিবিদ্ধ সনুকে জঙ্গলে ফেলে তার দুই সঙ্গী পালিয়ে যায়। সোনু একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার । বিহারের ছাপড়ার কাশি বাজারের একটি লজে থেকে পড়াশোনা করার সময়ই সাইবার ক্রাইমে হাত পাকায় সে।এবং সেখান থেকেই অপরাধ জগতে প্রবেশ করে বলে পুলিশ জেনেছে। ইতিমধ্যেই অন্ততপক্ষে ৬ টি ডাকাতির মামলায় তার নাম জড়িয়েছে।এখন দেখার যে, বিহারের সিওয়ান জেলার সিসওয়ান থানা এলাকার রামগড় অঞ্চলের বাসিন্দা সনু সিংয়ের গ্যাং সম্বন্ধে পুলিশ আরো কি তথ্য পায়।