
অমিত কুমার দাস, কলকাতা : আর. জি কর মামলায় প্রধান বিচারপতির ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন আর জি করের আইনজীবী. ‘আপনার আচরণ তো অভিভাবকের মত হওয়া উচিত ছিল। আপনার উচিত এখুনি বাড়ি ফিরে যাওয়া’, আর.জি করের আইনজীবীকে উদ্দেশ করে মন্তব্য প্রধান বিচারপতির। আজকে বিকাল তিনটার মধ্যে সন্দীপ ঘোষকে বলুন ছুটির আবেদন করে লম্বা ছুটিতে যেতে, নাহলে আমরা প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেব, মন্তব্য প্রধান বিচারপতির. সন্দীপ ঘোষের বয়ান রেকর্ড করেননি কেন ? তিনি তো ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান। কেন তাকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন ? কিছু একটা নিখোঁজ আছে, মন্তব্য প্রধান বিচারপতির.
উল্লেখ্য, আর জি কর মামলায় কেস ডায়রি তলব প্রধান বিচারপতির. দুপুর ১ টায় শুনানি শুরু হওয়ার আগে কেস ডায়রি তলব প্রধান বিচারপতির। পাশাপাশি সন্দীপ ঘোষের পদত্যাগপত্র এবং নতুন নিয়োগপত্র তলব প্রধান বিচারপতির. প্রধান বিতারপতির মন্তব্য, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। কারণ তাদের এক সহকর্মীকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে রাজ্যের কথা বলা উচিত। যে নৃশংসতার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে তাতে চিকিৎসকদের এই অবস্থানকে অন্যায্য বলা যায়না। তাদেরকেও তো নিজেদের বক্তব্য প্রকাশের জায়গা দিতে হবে।
নিহত চিকিৎসকের পরিবারের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, আমরা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন যে এই ঘটনা একজনের দ্বারা ঘটানো সম্ভব নয়।
প্রথমে পরিবারকে বলা হয় যে আপনার মেয়ে অসুস্থ, পরে বলা হয় যে সে আত্মহত্যা করেছে। পরিবারকে তিনঘন্টা বসিয়ে রাখার পর দেহ দেখতে দেওয়া হয়। পুলিশের তরফ থেকে ফোন করে বলা হয় যে সর্বোচ্চ মহল থেকে বলা হয়েছে এই ঘটনার মীমাংসা করে নিতে এবং কাউকে না বলতে, সওয়াল পরিবারের। এই মামলার তদন্তভার এখনি সিবিআইকে দেওয়া হোক, দাবি পরিবারের।
সোমবার প্রিন্সিপাল পদত্যাগ করেছেন, বিকালেই তাকে নতুন দ্বায়িত দেওয়া হয়েছে। এভাবেই তদন্ত হচ্ছে ? প্রশ্ন অন্যতম মামলাকারির আইনজীবী প্রতীপ চট্টোপাধ্যায়ের। আপনারা তাকে এভাবে পুরস্কৃত করতে পারেন না। পদত্যাগ করার চারঘন্টার মধ্যে তাকে ফের দ্বায়িত্ব দেওয়া হল ! এটা কিভাবে সম্ভব ? সন্দীপ ঘোষ এতই প্রভাবশালী ?
২০২৩ সালে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে যে ছাত্ররা আওয়াজ তুলেছেন তাদের Ragging এর শিকার হতে হয়েছে। মেডিক্যাল বর্জ্য দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তিনি যুক্ত। কেউ তাকে ছুঁতে পারবে না, সওয়াল মামলাকারির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজির.