
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ফুঁসছে সন্দেশখালি, শুক্রবার সকালেও জেলিয়াখালিতে শেখ সাহাজানের ডান হাত তৃণমূল নেতা শিবু হাজরার তিনটি পোলট্রি ফার্ম ও বসত বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। লাঠি হাতে রাস্তায় এলাকার স্থানীয় মহিলারা। সব মিলিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, চাষের জমি ও খাল দখল করে একের পর এক ভেড়ি তৈরি করেছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য শিবপ্রসাদ হাজরা এবং সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি উত্তম সর্দার। জমিতে চাষের পর গ্রামবাসীদের তাঁদের প্রাপ্য টাকা দেয়নি। গ্রামবাসীদের দাবি, এতদিন এলাকার দাপুটে তৃনমূলনেতা শেখ শাহজাহানের ভয়ে মুখ খুলতে পারেননি কেউ। শেখ শাহজাহান ইডির ভয়ে গা ঢাকা দিতেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে সন্দেশখালিতে।
বৃহস্পতিবার এলাকায় প্রতিবাদ মিছিলের পাশাপাশি শিবপ্রসাদ হাজরার ভেড়ির অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয় জনতা। স্থানীয় মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়েন পুলিশ আধিকারিকরা। ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই পুলিশ গ্রেফতার করে ৩ জনকে। আর তার জেরেই ফের আগুনে ঘি পড়ে। শুক্রবার দুপুরে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।
স্থানীয়রা জানতে চান এখনও কেন গ্রেফতার করা হল না শিবু হাজরাকে? কেন ৩ জন সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করা হল! উত্তেজিত জনতা জেলিয়াখালি এলাকায় শিবু হাজরার আরও তিনটি পোলট্রি ফার্মে আগুন ধরিয়ে দেয়। পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় শিবু হাজরার বসতবাড়িতেও।
অশান্তি নিয়ে তৃণমূলের বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, সিপিএম-বিজেপি পরিকল্পিতভাবে আদিবাসীদের উসকানি দিয়ে লোকসভা ভোটের আগে ফায়দা তুলতে চাইছে। উত্তম সর্দার, শিবু হাজরা যদি অপরাধী হয়, সেক্ষেত্রে দল ব্যবস্থা নেবে।