
সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়,সন্দেশখালি: লোকসভা নির্বাচনের আগে সন্দেশখালির ড্যামেজ কন্ট্রোলে একাধিক পদক্ষেপ প্রশাসনের।শিবু এবং উত্তমকে গ্রেফতারের পর এবার জোর করে কেড়ে নেওয়া আদিবাসীদের জমি ফেরাতে উদ্যোগী হলো সরকার। সেই মতো সোমবার সন্দেশ খালির ৩২ জন পাট্টা প্রাপকদের জেলা শাসকের দপ্তরে নিয়ে যাচ্ছে সন্দেশ খালি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতি।উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালি দু’নম্বর ব্লকের জমি জোর করে দখল করা ও চাষের জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে মেছো ভেড়ি তৈরি করা এবং চাষীদের লিজের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছিল শাসক দল তৃণমূলের স্থানীয় দুই প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে। সেই অভিযুক্ত দুই নেতা উত্তম সর্দার ও শিবপ্রসাদ হাজরা ইতিমধ্যে পুলিশের জালে। এরপরে রবিবার তৃণমূলের তিন মন্ত্রী সুজিত বসু, পার্থ ভৌমিক ও বিরবাহা হাসদা সন্দেশখালীর ন্যাজেটে এসে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে গেছেন। তারা বলে গেছেন যারা জমির লিজের টাকা যারা পাননি। দল তাদের সেই প্রাপ্য টাকা ফেরত দেবে। পাশাপাশি যাদের কাছে ভাগ চাষী হিসাবে জমির উপযুক্ত নথিপত্র আছে তাদের পাট্টা দেওয়া হবে।
সেইমত প্রায় ৩২ টি আদিবাসী পরিবারের পাট্টা তুলে দেওয়ার জন্য তাদেরকে নিয়ে সন্দেশখালি থেকে বাসে রওনা হলেন সন্দেশখালি দু’নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি মনীষা সদ্দার। তিনি উত্তর ২৪ পরগনা জেলা শাসকের দপ্তরে যাবেন এবং তাদের উপযুক্ত নথিপত্র দেখিয়ে যাতে ওই আদিবাসী পরিবার গুলো পাট্টা পায় তার সব রকম ব্যবস্থা করবেন বলে জানা গেছে। সন্দেশখালীর ধামাখলী হয়ে বাসে করে বারাসত জেলা শাসকের দপ্তরে তারা হাজির হবেন তারা। এখন দেখার বঞ্চিত আদিবাসী পরিবার গুলি তাদের প্রাপ্য জমি ও অর্থ ফেরত পান কিনা।