
ওঙ্কার ডেস্ক : বাংলাদেশের পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অভিযোগ আনা হয়েছে। বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। সেই আবহে আসন্ন ঈদুজ্জোহার পর বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিচারকার্য শুরু করতে চলেছে মহম্মদ ইউনুস সরকার। সেই বিচার প্রক্রিয়া গোটা বিশ্বে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বলে খবর।
ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, আগামী ঈদের পরেই শেখ হাসিনার বিচার শুরু করা হবে। হাসিনা ছাড়াও বিচার শুরু হবে বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের। তাঁর বিরুদ্ধেও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া বিচার হবে বাংলাদেশ পুলিশের প্রাক্তন মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের। এই বিচার প্রক্রিয়া সরাসরি সম্প্রচার করার জন্য বাংলাদেশ সরকার সব দূতাবাসকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল এবং অনলাইন নিউজ প্ল্যাটফর্মগুলিকেও বিচার কাজ সম্প্রচার করার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, নিয়ম অনুযায়ী অভিযুক্তদের বাড়ির ঠিকানায় নোটিস পাঠানো হবে। সেই নোটিসের প্রেক্ষিতে কোনও জবাব না দিলে তাঁদের নামে দুটি সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাত দিনের মধ্যে কোনও সাড়া না পেলে অভিযুক্তদের পলাতক ঘোষণা করা হবে। তবে পলাতক ঘোষণা করা হলেও তাঁদেরকে আইনজীবী দেবে সরকার। নিজেরাও আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন শেখ হাসিনা-সহ অভিযুক্তরা। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হয়ে মামলা লড়ার জন্য ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না। তবে সেক্ষেত্রে হাসিনার লিখিত সম্মতি প্রয়োজন।