
ওঙ্কার ডেস্ক: আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে। জানালেন বাংলাদেশের সরকারি আইনজীবী তথা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর মহম্মদ তাজুল হোসেন। শনিবার ঢাকার একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
তাজুল হোসেন জানান, ইন্টারপোলের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি রয়েছে বলে জানান তিনি। তবে এই প্রক্রিয়ায় তাড়াহুড়ো করছে না ইউনুস সরকার। শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন বলে অভিযোগ, সেই বিষয়ে তাঁর বিচার চেয়ে সাধারণ মানুষের যে আকাঙ্খা রয়েছে তা নষ্ট হবে না বলে জানিয়েছেন তাজুল হোসেন। তাঁর কথায়, ‘ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনাকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারই তা স্বাক্ষর করেছিল। আশা করছি, এই চুক্তির শর্ত মেনেই ভারত হাসিনাকে ফেরত দেবে।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘এটি কোনও সাধারণ খুনের ঘটনা নয়। এগুলি মানবতাবিরোধী অপরাধ। যার বিস্তৃতি ৫৬ হাজার বর্গমাইল। দু’হাজারের বেশি মানুষ এতে শহিদ হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ২৫ হাজারের বেশি। আমরা দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর চেষ্টা করছি।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ছাত্র জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়ে গত বছর ৫ আগস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসেন শেখ হাসিনা। তাঁকে ফেরত চেয়ে ইতিমধ্যে মহম্মদ ইউনুস প্রশাসনের তরফে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করলেও নয়াদিল্লির তরফে তার কোনও জবাব দেওয়া হয়নি।
ভিডিও দেখুন-