
অপরূপা কাঞ্জিলাল : স্মার্টলি হেঁটে যেতে যেতে হাতের দিকে একপলকে তাকিয়ে নিজেকে আরও স্মার্ট মনে হয় এখন অবদানে হাতের মনিবন্ধে থাকা আরেকটি স্মার্ট বস্তু।বাজারে নতুন ট্রেন্ড স্মার্ট ওয়াচ বা স্মার্ট ব্যান্ড। অনেকের হাতেই যা এখন দেখা যাচ্ছে। আসলে বর্তমানের যুগের হাওয়ায় নিজেকে অ্যাডভান্স থাকতে হলে নয়া প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। নাহলে পিছিয়ে পড়তে হবে ভাবনাটা এমনই সেক্ষেত্রে ভাবনা ভুল তাও বলা যায় না তবে সেইসব প্রযুক্তিকে নিয়ে চলতে গেলে সাবধানতা ও সতর্কতা দুই অবলম্বন করা উচিত আর সমস্যাটা এখানেই কর্মব্যস্ততা হোক বা অন্যমনস্কতা সচেতনতায় ফাঁকফোকর থেকেই যায় আর যার ফল অনেকক্ষেত্রেই ভয়ানক মাসুল গোনায়। এমনই এক সুন্দর কিন্তু বিপদজনক প্রযুক্তি স্মার্ট ওয়াচ। না না ভয় দেখাচ্ছি না শুধু সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি। কারণ আপনার অজান্তেই আপনার হাতের ঐ ছোট্ট ঘড়িটি আপনার যাবতীয় তথ্য তুলে দিতে পারে অন্যের হাতে। কেমন ভাবে চলুন জেনে নিই।

স্মার্ট ওয়াচ বা স্মার্ট ব্যান্ড মোবাইল ফোনের সঙ্গে যুক্ত থাকে। স্মার্ট ওয়াচ বা স্মার্ট ব্যান্ডে বিএলই অর্থাত্ ব্লু টুথ লো এনার্জি ব্যবহার হয়। এই ডিভাইসের মাধ্যমে হ্যাকাররা হ্যাক করছে। ব্লু টুথ দুইরকম হয়, ক্লাসিক ও বিএলই। প্রত্যেকটা স্মার্ট ওয়াচে বিএলই ব্যবহার করা হয়।ফলে ফোন কল, নোটিফিকেশন, মেসেজ, এমনকি হার্টবিটও হ্যাক করা যাবে। হ্যাকাররা কারসাজি করে ফেক ডেট, ফেক ফোন ও ফেক ম্যাসেজ পাঠাতে থাকে। ফলে আপনার অজান্তে ফোনে থাকা সব ডেটাই হ্যাক হয়ে যেতে পারে।
বর্তমানে ডিজিটাল ক্ষেত্র এতটাই ছড়িয়ে পড়েছে যে ফোন হ্যাক হলে কি কি ঘটনা ঘটে যেতে পারে বুঝতেই পারছেন। এবার প্রশ্ন আসে তাহলে কি করা যায়? আমরা কি তবে পড়বনা, পড়বনা সাধের স্মার্ট ওয়াচ আমরা? হ্যা হ্যা নিশ্চয়ই পড়বেন। তবে হ্যাকিং থেকে বাঁচতে প্রথমেই ভয় না পেয়ে একটি কাজ করতে হবে। ব্লু টুথ বন্ধ করে দিতে হবে। তারপর ফোনের সুইচ অফ করে দিতে হবে। তাহলেই হ্যাকারদের ট্র্যাক থেকে বাইরে বেরিয়ে আসা যাবে। ব্যাস এবার নো চিন্তা পড়ুন স্মার্ট ওয়াচ তবে সতর্কতার দিক দিয়ে আপনাকেও থাকতে হবে স্মার্ট।