
ওঙ্কার ডেস্ক: মেঘালয় হত্যাকাণ্ডে আরও তথ্য পেলেন গোয়েন্দারা। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, রাজার শেষকৃত্যে যোগ দিয়েছলেন সোনমের প্রেমিক রাজ। শুধু তাই নয়, সোনমদের পরিবারের সদস্যেরা চার-পাঁচটি গাড়িতে চেপে রাজার শেষকৃত্যে গিয়েছিলেন। যার মধ্যে একটি গাড়ি চালিয়েছিলেন রাজ নিজে। গাড়ি চালিয়ে শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার পথে কারোর সঙ্গে কথা বলেননি সোনমের প্রেমিক।
পাশাপাশি তদন্তে উঠে এসেছে, মধ্যপ্রদেশের ইনদওরে বসেই খুনের ছক কষা হয়েছিল। সোনমের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন প্রেমিক রাজ। এই হত্যাকাণ্ডে শুধু রাজ নয়, জড়িত রিয়েছে বিশাল চহ্বাণ, আকাশ রাজপুত এবং আনন্দ কুর্মি নামের তিন অভিযুক্ত। ইতিমধ্যে তাঁদেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিসি (অপরাধ) রাজেশ দান্ডোতিয়া সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, মধ্যপ্রদেশ থেকে বিহার গিয়েছিলেন তিন অভিযুক্ত। সেখান থেকে ট্রেনে গুয়াহাটি যান। তার পর তাঁরা মেঘালয়ে যান।
অন্য দিকে, ইতিমধ্যে মেঘালয় পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে সোনমকে। রবিবার উত্তরপ্রদেশ থেকে বিহার নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। তাঁকে নিয়ে গুয়াহাটি রওনা দেবেন তদন্তকারীরা। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ঘটনার বিষয়ে কোনও কথা বলছেন না সোনম। তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ে জবাব এড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই একই কথার পুনরাবৃত্তি করছেন। ‘আমার মাথা যন্ত্রণা হচ্ছে, ঘুমাতে পারছি না’ এই ধরণের মন্তব্য করছেন।