
গোপাল শীল, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঃ চাকরির টোপ, প্রতারণার ফাঁদে এবার তৃণমূল নেতা। অগ্রিম হিসাবে ১ লক্ষ টাকা নিয়ে এনআরএস-এ নিয়োগের নামে প্রতারণা. চাকরিতে যোগ দিতে গিয়ে মাথায় হাত তৃণমূল অঞ্চল যুব সভাপতির
চাকরির টোপ, প্রতারণার ফাঁদে এবার তৃণমূল নেতা। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। প্রতারণার শিকার হয়েছেন তৃণমূল অঞ্চল যুব সভাপতি। নাম পৃথ্বীরাজ তাঁতি। শাসক দলের যুব নেতা হবার সুবাদে যে এলাকায় বেশ প্রভাবশালী, তা এলাকায় কান পাতলেই জানা যায়। সেই পৃথ্বীরাজকে সরকারি হাসপাতালে চাকরি দেবার নাম করে, ১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেবার অভিযোগ উঠেছে প্রীতম কলা নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। পৃথ্বীরাজের দাবি, তার দলের প্রথম সারির নেতাদের সঙ্গে ছবিতে দেখা যায় প্রীতমকে। সেই তালিকায় রযেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য থেকে যুব নেতা দেবাংশু। তৃণমূলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দুজনের আলাপ। সেই ছবি দেখিয়ে প্রীতম নিজেকে শাসক ঘনিষ্ঠ বলে নিজেকে পরিচয় দেয় বলে জানান পৃথ্বীরাজ। স্বাস্থ্য থেকে শিক্ষা, পুর থেকে খাদ্য দফতরে তার ক্ষমতা আছে বলে প্রীতম দাবি করে। যুব নেতা চাকরির আশায় বুক বেঁধেছিল। কথা মত প্রীতমকে ১ লক্ষ টাকা অগ্রিম দেন। কিন্তু গঙ্গা দিয়ে গ্যালন কে গ্যালন জল বয়ে গেলেও চাকরি হয়নি তার।
বেশ কিছুদিন পর, নীল রতন হাসপাতালে চাকরিতে যোগ দেওয়ার নিয়োগ পত্র নিয়ে আসে প্রীতম। নিয়োগ পত্র নিয়ে পৃথ্বীরাজ নীল রতন সরকার হাসপাতালে গেলে সুপার ধরে ফেলেন নিয়োগ পত্র ভুয়ো। হাসপাতাল থেকে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। শাসকদের যুব নেতা পৃথ্বীরাজ আরও বলেন তাঁকে চরম হেনস্থার শিকার হতে হয়।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পাথর প্রতিমা ব্লকের লক্ষ্মী জনার্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহেশপুরের বাসিন্দা প্রতিম কলা। বিভিন্ন মন্ত্রী, বিধায়কের সু সম্পর্ক আছে। প্রতারিত নেতার বন্ধুর মতে, এই ঘটনার নেপথ্যে বড় দালাল চক্র জড়িত।