
ওঙ্কার স্পোর্টস ডেস্ক: বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে কঠিন লড়াইয়ে ১-০ ব্যবধানে যুবভারতীতে জয় পেলো মোহনবাগান। একমাত্র গোল করলেন লিস্টন কোলাসো।এই জয়ের ফলে ১৮ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শিল্ড জয়ের দিকে অনেকটাই এগিয়ে গেলো টিম বাগান। আর দলের এই সাফল্যর পরে বাগান কোচ হোসে মোলিনা বললেন, ‘এ রকমই কঠিন ম্যাচের প্রত্যাশা ছিল। আমরা আক্রমণাত্মক খেলায় জোর দিই। তবে প্রথমার্ধে তা-ও যথেষ্ট ছিল না। বলের বেশিরভাগ পজিশন ওদের কাছেই ছিল। ওরা ভাল কম্বিনেশন তৈরি করে গোলের সুযোগ তৈরি করে। তবে আমার মনে হয়, আমরা কিছু ভাল আক্রমণ করেছি।
মনবীর, লিস্টন, ম্যাকলারেনের মাধ্যমে আমরা লং বলে খেলতে ও বেশি জায়গা তৈরি করতে চেয়েছিলাম। কিছু সুযোগও এসেছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা আরও আক্রমণাত্মক ছিলাম। আমরা জানি, ওরা সত্যিই ভাল দল। ওরা দ্রুত বল মুভ করে ও বক্সের ভিতরে অনেক খেলোয়াড় নিয়ে এসে কম্বিনেশন তৈরি করে। কিন্তু আমরা ভালভাবেই রক্ষণ সামলেছি”।
তিনি আরও বলেন, “ঘরের মাঠে আমাদের সমর্থকদের সামনে খেলা মানে একজন অতিরিক্ত খেলোয়াড় পাওয়া। তারা আমাদের উজ্জীবিত করে এবং সাহায্য করে। তবে আমরা একটি দল হিসেবে পুরোপুরি সঙ্ঘবদ্ধ। অন্য স্টেডিয়ামেও আমাদের সমর্থকরা থাকেন, কিন্তু ঘরের মাঠের মতো এত নয়। শুধু একটি অ্যাওয়ে ম্যাচে আমরা খারাপ খেলেছি। সেটি বেঙ্গালুরুর ম্যাচ। তবে ওরা সে দিন জেতার মতোই খেলেছিল।
আমার মতে, আজ ৫০-৫০ ম্যাচ ছিল। আমরা এফসি গোয়া ম্যাচের তুলনায় খারাপ খেলিনি। ম্যাচ জিততে হলে গোল করতে হয়। আমরা চেন্নাইয়ে গোল করিনি। জামশেদপুরে গোল করেছিলাম, কিন্তু সেই পর্যায়ে পৌঁছতে পারিনি। তবে জামশেদপুর এবং অন্যান্য ম্যাচে আমরা অনেক গোল করার সুযোগ পেয়েছিলাম”।
লিগ শিল্ড ধরের রাখার ব্যাপারেও যথেষ্ট আশাবাদী মোহনবাগান কোচ। তবে কাজটা যে মোটেই সোজা হবে না, তা জানেন মোলিনা। তিনি বলেন, “আমাদের এখনও কিছু ম্যাচ বাকি আছে। এখনও অনেক পরিশ্রম বাকি। আমাদের লড়াই করতে হবে। আরো কিছু ম্যাচ জিততেই হবে। আজ আমরা শিল্ডের আরও কাছাকাছি গেলাম। কিন্তু কাজ এখনও শেষ হয়নি”।
মোহনবাগানের মতো দলের খেলোয়াড়দের যে চাপের মধ্যেই থাকতে হয় সব সময়, তা বুঝে গিয়েছেন মোলিনা। তিনি বলেন, “মোহনবাগানে কখনও চাপ কম থাকে না। এখানে সবচেয়ে বেশি চাপ থাকে। আমরা তা জানি এবং বুঝি। এটা আমাদের সমস্যা নয়। আমরা এই চাপ সামলাতে পারি। যতক্ষণ না আমরা জিততে পারি, ততক্ষণ চাপ থাকবেই। কিন্তু এই মুহূর্তে চাপ কমেনি। আমার মনে হয় লিগের শেষ পর্যন্ত এই চাপটা থাকবে”।