
ওঙ্কার ডেস্কঃ বছরের প্রথম ডার্বি খেলা হবে কোন মাঠে? সেই নিয়ে এখনও কাটছে না ধোঁয়াশা। শনিবার রাত অবধি কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি মোহনবাগান দল, আইএসএল এবং ফুটবল স্পোর্টস ডেভলপমেন্ট কমিটি। রবিবার ফের এনিয়ে বৈঠকে বসতে পারে মোহনবাগান দল এবং দুই কমিটি।
যুবভারতীতে চলতি মরশুমের ডার্বি ছিল ১১ জানুয়ারি। ম্যাচের আয়োজক ছিল মোহনবাগান দল। কিন্তু গঙ্গাসাগরের মেলার জন্য সঠিক নিরাপত্তা দিতে পারবে না বলে জানায় বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। যার জেরে যুবভারতীতে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে ডার্বি। দুই দলের সমর্থকদের কথা মাথায় রেখে অর্ধেক অথবা তার কম দর্শক নিয়ে ম্যাচ করার কথা বলে মোহনবাগান। তবে ওই প্রস্তাবেও সায় দেয়নি বিধাননগর পুলিশ। এমন একটি হাই ভোল্টেজ ম্যাচের হাফ টিকিটে খেলা হলে মাঠের বাইরে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এর দায়ভার নিতে রাজি নয় পুলিশ।
বিকল্প ভেন্যু হিসেবে বেশ কয়েকটি জায়গার নাম উঠে আসলেও শেষ পর্যন্ত শোনা যাচ্ছে, তিনটি জায়গার নাম। ভুবনেশ্বর, গুয়াহাটি এবং দিল্লি। রাজনৈতিক কারণে ভুবনেশ্বরকে নাকচ করে দিয়েছে মোহনবাগান দল। কিছু সমর্থক যাতে মাঠে পৌঁছতে পারে এজন্য গুয়াহাটিই থাকছে মোহনবাগানের প্রথম চয়েস। এছাড়াও ১১ তারিখের আগে ১০ তারিখ ওই একই মাঠে আছে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের হোম ম্যাচ। ম্যাচের লাইভ সম্প্রচার করা হবে।
সূত্রের খবর, রবিবার কিংবা সোমবার ফের বৈঠকে বসবে মোহনবাগান দল, আইএসএল এবং ফুটবল স্পোর্টস ডেভলপমেন্ট কমিটি। তাতেও যে কোনও আশার আলো ফুটবে সেই আশাও কম। দুই প্রধানের লড়াই দেখতে সমর্থকদের হয়তো এবার নর্থ-ইস্টের টিকিট কাটতে হবে।