
স্পোর্টস ডেস্ক : বৃষ্টি-ঝড়ে শেষ পর্যন্ত পরিত্যক্তই হয়ে গেল কেকেআর ও পাঞ্জাব কিংস ম্যাচ। দু’ দলই এক পয়েন্ট করে পেল। কলকাতার পয়েন্ট এখন সাত। বাকি সব ম্যাচ কলকাতার কাছে মরণবাঁচনের।
পাঞ্জাব ঝড়ের পরে কলকাতায় নামে ঝড়-বৃষ্টি। তাতে শহর কলকাতায় স্বস্তি নামলেও পাঞ্জাবের স্বস্তি হল না। ২০১ রান করেও এক পয়েন্ট নিয়ে কেউ কি স্বস্তিতে থাকতে পারে? দুই পাঞ্জাবী ওপেনারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে অন্য এক আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। নাইটদের বিরুদ্ধে পাঞ্জাব হয়তো আড়াইশো বা তার বেশি রান করে ফেলবে। কোনও নাইট বোলারকেই দুই ওপেনার প্রিয়াংশ ও প্রভসিমরমন রেয়াত করেননি। ওপেনিং জুটিতে তাঁরা তোলেন ১২০ রান।
প্রিয়াংশ মাত্র ৩৫ বলে ৬৯ রান করেন। ৪৯ বলে ৮৩ রানে ফিরে যান প্রভসিমরন সিং। প্রভসিমরন যখন ফিরে যান, তখন পাঞ্জাবের রান ছিল ২ উইকেটে ১৬০। রানের শিখরে পৌঁছনোর বড় সুযোগ ছিল পাঞ্জাবের সামনে। অধিনায়ক শ্রেয়সের সঙ্গে ক্রিজে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এর পরেও পাঞ্জাব অবশ্য আড়াইশোয় পৌঁছতে পারেনি।
রান তাড়া করতে নেমে কলকাতা এক ওভারে সাত রান করার পরে শুরু হয় বৃষ্টি-ঝড়। সেই ঝড়-বৃষ্টি আর থামেনি।ইডেনে অত্যাধুনিক বাতিস্তম্ভ থাকায় খেলা চলাকালীন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে ম্যাচ বন্ধ থাকে না। এমনকী আলো নিভিয়ে লেজার শো চলে। এদিনও ঝড়বৃষ্টিতে ইডেনের চারটি বাতিস্তম্ভের আলোয় কোনও সমস্যা হয়নি।যদিও আচমকাই গোটা ক্লাব হাউস অন্ধকার হয়ে যায়। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। সিইএসসির লাইনে কোনও সমস্যা হয়েছে কিনা সে ব্যাপারেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ক্লাব হাউসেই সিএবি সভাপতির ঘরের কাছেও ঘুটঘুটে অন্ধকার হয়ে যায়।
নিজের ঘর থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় বেরিয়ে আসেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, সিএবি সভাপতির ঘরের নীচের তলাতেই দুই দলের ড্রেসিংরুম। ভিআইপি বক্স, এমনকী কর্পোরেট বক্সেও কিছুক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ ছিল না।সিএবির প্রাক্তন এক কর্তা বলেন, আগে স্টেডিয়ামে খেলা চলার সময় আলো নেভার সমস্যা হয়েছে। তবে ক্লাব হাউসের মতো হাই সিকিউরিটি জোনে এমন বিদ্যুৎ বিভ্রাট কখনও ঘটেনি বিগত কয়েক দশকে। কেন এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে এখনও বিবৃতি দেয়নি সিএবি। এদিন রাত সাড়ে ৯টা অবধি খেলা দেখতে মাঠে ঢুকেছেন ৩৪ হাজার ৪০ জন দর্শক। শনিবারের রাতে দর্শকদের মাঠবিমুখ হওয়াও ভালো বিজ্ঞাপন নয়।