
নিজস্ব সংবাদদাতা : রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগে (SSC) দুর্নীতির অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসা ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা শুক্রবার শিয়ালদহ থেকে নবান্ন পর্যন্ত ‘অর্ধনগ্ন মিছিল’-এর ডাক দেন। তবে সকাল থেকেই শিয়ালদহ চত্বরে কড়া পুলিশি নজরদারি শুরু হয়। জমায়েত শুরু হতেই শুরু হয় ধরপাকড়। অনুমতি ছাড়া জমায়েতের চেষ্টা রুখতে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়। এমনকি নিত্যযাত্রীদের মধ্যেও কেউ আন্দোলনকারী কিনা তা খতিয়ে দেখে আটক করা হয় একাধিক ব্যক্তিকে।
শুধু শিয়ালদহ নয়, ধর্মতলা চত্বর, এমনকি মেট্রো স্টেশনগুলিতেও পুলিশের তল্লাশি চলে। আন্দোলনকারীদের তরফে চিন্ময় মণ্ডল আগেই সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, এই ‘অর্ধনগ্ন মিছিল’-এর মধ্য দিয়ে তাঁরা রাজ্য সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হবেন। তাঁদের বক্তব্য, স্কুল সার্ভিস কমিশন ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দুর্নীতিতে শিক্ষাব্যবস্থা যেমন কলুষিত হয়েছে, তেমনই হাজার হাজার ‘যোগ্য’ প্রার্থী চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরিহারাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “পরীক্ষায় বসুন, সুযোগের সদ্ব্যবহার করুন।” তিনি জানান, পুনরায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে, এবং রিভিউয়ের মাধ্যমে বিচার চাওয়ার পথও খোলা রয়েছে। যদিও আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন, অসুস্থ বা অন্তঃসত্ত্বা প্রার্থীরা কীভাবে আবার পরীক্ষা দেবেন? এবং যোগ্যদের পুনরায় পরীক্ষার কথা কেন বলা হচ্ছে, যখন প্রথম দফাতেই তাঁদের চাকরি প্রাপ্য ছিল?
মিছিল আটকাতে পুলিশ প্রশাসনের এমন সক্রিয় ভূমিকা ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বহু আন্দোলনকারী। আন্দোলনকারীদের দাবি, “শিক্ষকের মতো পেশাকে নগ্ন করা হয়েছে রাজ্য সরকারের দুর্নীতির মাধ্যমে। তাই আমরাও নগ্ন প্রতিবাদে নামতে বাধ্য হয়েছি।”
এই প্রতিবাদ ও প্রশাসনিক প্রতিক্রিয়া ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে ফের একবার তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।