
নিজস্ব সংবাদদাতা : সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলটাই বাতিল করে নতুন করে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। ৩০ মে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানান, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল ৩১ মে-র মধ্যে নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে আদালতে হলফনামা পেশ করতে হবে। সর্বোচ্চ আদালতের সেই নির্দেশ মেনে ৩০ মে নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হচ্ছে।
তিনি জানিয়েছেন, “এর মধ্যে নবম-দশম শ্রেণির জন্য ২৩,২১০ শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য ১২,৫১৪ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। গ্রুপ সি পদে নিয়োগ করা হবে ২৯৮৯ জনকে এবং ৫৪৮৮ জনকে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করা হবে”।
৩০ মে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ১৬ জুন থেকে অনলাইনে আবেদন নেওয়া শুরু হবে। ১৪ জুলাই পর্যন্ত আবেদন জমা দেওয়া যাবে। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশের প্রক্রিয়া শেষ হবে। এরপর ২০ নভেম্বর থেকে কাউন্সেলিংয়ের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
মমতা এদিন সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা যাঁরা সরকার চালাই বা যেখানেই থাকি না কেন, আমাদের সংবিধান বা আইন মেনে চলতে হয়। আমরা যদি আইনের পরিধির বাইরে গিয়ে অন্য পদক্ষেপ করি, তাহলে আদালত বিষয়টাকে অন্যভাবে নিতে পারে। আমরা রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছি। সেই পিটিশনে বলেছি, যাঁরা চাকরি করছেন, তাঁদের চাকরি করতে দেওয়া হোক। কারও যেন চাকরি বাতিল না হয়। তবে এখন সুপ্রিম কোর্টে গ্রীষ্ণকালীন অবসর চলছে”।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “আপনাদের বুঝতে হবে, সুপ্রিম কোর্ট যে অর্ডার দিয়ে গেছে সেটা যদি পালন না করি, তাহলে ওরা বলে দিতে পারে, তোমাদের তো অর্ডার দিয়েছিলাম। তোমরা শোনোনি। তাই সবটাই বাতিল করা হল। তাই এটা করতে হচ্ছে। যদি রিভিউ পিটিশনে বলে, কারও চাকরি বাতিল করা হবে না। তাহলে তো কোনও অসুবিধা নেই”।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “আমাদের টাইম বেঁধে দেওয়া হয়েছে, ৩১ মে-র মধ্যে প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। যেহেতু প্যানেল বাতিল করা হয়েছে, তাই ৩১ মে-র মধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। সেই কারণে ৩০ মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হচ্ছে”।