
নিজস্ব সংবাদদাতা : দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৌসুনী দ্বীপ—শান্ত, নির্জন, প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকদের কাছে এক অনন্য গন্তব্য। সুন্দরবনের উপকণ্ঠে অবস্থিত এই দ্বীপে গড়ে উঠেছে একাধিক রিসোর্ট, যা পর্যটকদের জন্য তৈরি করেছে আদর্শ পরিবেশ। তবে সেই পরিবেশেই দুর্নীতির ছায়া ফেলেছে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ।
মৌসুনী দ্বীপের এক রিসোর্ট মালিকের দাবি, তাঁর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে স্থানীয় কিছু যুবক। অভিযোগ, এই দাবির পিছনে ছিল পুলিশেরও পরোক্ষ মদত। টাকা দিতে অস্বীকার করায় রিসোর্ট মালিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন ওই রিসোর্ট মালিক।
হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারকে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আট সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দিতে বলা হয়েছে।
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, এর আগেও মৌসুনী দ্বীপে পর্যটন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী রিসোর্ট মালিক জানিয়েছেন, এই তোলাবাজির বিরুদ্ধে একাধিকবার জেলা পরিষদ এবং প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনও সুরাহা মেলেনি। অন্যদিকে, পুলিশ প্রশাসনের তরফে পাল্টা অভিযোগ জানানো হয়েছে যে, রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ বেআইনিভাবে জমি ঘিরে রেখেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই মৌসুনী দ্বীপ জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পর্যটন শিল্পে এই ধরনের ঘটনার প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন রিসোর্ট মালিকেরা। এখন নজর হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশের তদন্তে কী উঠে আসে তার দিকেই।