
প্রদীপ মাইতি,ওঙ্কার বাংলাঃ মালদার পর এবার পূর্ব মেদিনীপুরে রাজ্য সরকারি আধিকারিককে ঘিরে বিক্ষোভ। গো ব্যাক স্লোগান দেখালেন পূর্ব মেদিনীপুরের রায়দা গ্রামের বাসিন্দারা। সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে।
মালদার পর এবার পূর্ব মেদিনীপুর। আবাসের সমীক্ষা দলকে ঘিরে বিক্ষোভ – গো ব্যাক শ্লোগান। তুমুল উত্তেজনা এগরায়। ব্লকের সার্ভের টিমে থাকা খোদ রাজ্য সরকারি আধিকারিককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসী।পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ১ নম্বর ব্লকের পাঁচরোল গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়দা গ্রামের ঘটনা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সোমবার বিকেলে রায়দাতে সার্ভে করতে এসেছিলেন এগরা ১ ব্লকের খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের আধিকারিকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ঘরের বিছানার মধ্যে ঢুকে ঐ খাদ্য সরবরাহ দফতরের আধিকারিক সবকিছু জিনিস খতিয়ে দেখে ছবি তুলছেন। পাশাপাশি তিনি গ্রামে ঘুরে বেছে বেছে ঘর সার্ভে করছেন। কিন্তু প্রকৃত প্রাপকেরা বঞ্চিত থাকছেন বলে দাবি গ্রামবাসীদের। এ নিয়েই সরকারি আধিকারিকের সঙ্গে বচসার সূত্রপাত বাধে। কার্যত, ঐ সরকারি আধিকারিককে ঘিরে বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে তুমুল বিক্ষোভ। অবশেষে মারমুখী হয় উত্তেজিত জনতা। এলাকাবাসীর দাবি, ব্লকের খাদ্য সরবরাহ দফতরের আধিকারিক কারোর মদতে পক্ষপাতিত্ব মূলক আচরণ করছে। যেটা সম্পূর্ণ বেআইনি। অবশেষে রায়দা গ্রামের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রবীন্দ্রনাথ দাসের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। রবীন্দ্রনাথবাবু ঐ আধিকারিককে উত্তেজিত জনতার কাছ থেকে বার করে পরিস্থিতি সামাল দেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রবীন্দ্রনাথ দাস জানিয়েছেন, “সার্ভে অনুযায়ী যাদের নাম ছিল তাদের প্রত্যেককে ঘর দিতে হবে। এখানে যারা প্রকৃত উপভোক্তা তাদের বঞ্চিত করতে চাইছে কিছু সরকারি আধিকারিক। আমরা মানুষের কাছে দায়বদ্ধ। মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী আবাস যোজনার ঘরের জন্য সার্ভে হচ্ছে। আমরা ঐ সরকারি আধিকারিকের পক্ষপাতিত্ব মূলক আচরণ বিরুদ্ধে বিডিও ‘র কাছে লিখিত অভিযোগ জানাবো”