
ওঙ্কার ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের রামপুর জেলায় মূক ও বধির এক নাবালিকাকে নৃশংসভাবে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। নির্যাতিতাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় এনকাউন্টারের পর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার বয়স ১১ বছর।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সে নিখোঁজ ছিল। মেয়েকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের লোকজন। বুধবার সকালে, তাকে একটি মাঠে নগ্ন এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাওয়া যায়। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে মিরাটের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এই ঘটনায় পকসো আইনে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। সন্দেহভাজন হিসেবে স্থানীয় দান সিং (২৪) কে চিহ্নিত করে। তাকে ধরার চেষ্টা করার সময় সে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এর পর পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।
রামপুর পুলিশ প্রধান বিদ্যা সাগর মিশ্র বলেন, মেয়েটির মা পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ করেছিলেন। সেখানে বলা হয়েছিল, তাঁর মূক ও বধির মেয়েকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা একটি মামলা দায়ের করেছি এবং মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছি। অভিযুক্তকে খুঁজে বের করার জন্য তিনটি দল গঠন করা হয়েছে। আমরা যখন তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করি, তখন সে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার জন্য পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। অভিযুক্ত গুলিবিদ্ধ হয়। মেয়েটির চিকিৎসা চলছে।’
তিনি বলেন আরও বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে যে অভিযুক্ত তার বাড়ির বাইরে মেয়েটির সঙ্গে কথা বলছে। ‘তারপর সে তাকে এমন কোথাও নিয়ে যেতে রাজি করায় যেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল।’
নির্যাতিতার চিকিৎসা করেছেন, সেই চিকিৎসক অঞ্জু সিং সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এটি স্পষ্টতই এক বা একাধিক ব্যক্তির দ্বারা ধর্ষণের ঘটনা কারণ তার গোপনাঙ্গে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। তার মুখে একটি ভোঁতা বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।