
উজ্জ্বল হোড়, জলপাইগুড়িঃ জলপাইগুড়ির মিনি টর্নেডোর পর কেটে গেছে দুই দিন। এখনও পর্যন্ত একাধিক পরিবারের জোটেনি একটি পলিথিন সিট। সরকারি খতায় ফোটো তুলে নাম লেখাই সার। নিন্দুকেরা বলেছে রাজনীতির শিকার ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলি।
বিধ্বংসী ঝড়ের পর দু’দিন কেটে গেছে। এখনও আকাশের মুখ ভার। বৃষ্টির আতঙ্ক মাথায় নিয়ে দুদিন ধরে খোলা আকাশের নীচে জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন দক্ষিণ সুকান্ত নগরের কয়েকশো পরিবার। বিনিদ্র রাত কাটছে সন্ধ্যা, কাঞ্চন, সঞ্জয় দের। মুখ্যমন্ত্রী,রাজ্যপাল, থেকে বিরোধী দলনেতা অনেকেই এসেছেন, এসেছে সরকারি আধিকারিকরা। তোলা হয়েছে ফটো, লেখা হয়েছে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ দের নাম। কিন্তু ! ব্যাস এই পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থেকেছে টর্নেডো ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ দক্ষিণ সুকান্ত নগরের বাসিন্দাদের জন্য হওয়া ব্যবস্থা। মঙ্গলবার সকালে মুখে একরাশ দুশ্চিন্তার ছায়া নিয়ে বর্তমান অবস্থার বর্ণনা দিলেন দিনমজুর কাঞ্চন সাহা।
এলাকার সঞ্জয় কামতির অবস্থা আরও করুন। ঝড়ের দুদিন পরেও জোটেনি একটি পলিথিন সিট। গোটা পরিবার দিন কাটাচ্ছে খোলা আকাশের নীচে।
অন্যদিকে পরিচারিকার কাজ করে জীবন যাপন করা সন্ধ্যা সিং। ঝড়ে আহত শাশুড়ি দুদিন ধরে চাল বিহীন ঘরের বিছানায়। তার মুখে তুলে দেবার মত খাবারটুকুও নেই।
রবিবার জলপাইগুড়ি জেলার সদর ব্লক ও ময়নাগুড়ি ব্লকের একটি অংশে অছড়ে পরে বিধ্বংসী ঝড়। সময় মাত্র ৪ মিনিটের মিনি টর্নেডো। তাতেই মৃত্যু একাধিক। ভেঙেছে বহু বাড়ি। তারপর থেকেই খোলা আকাশের নীচে কয়েশ পরিবার।