
গোপাল শীল, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা: “পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। রাস্তাঘাটের অবস্থা বেহাল। নিকাশি ব্যবস্থা নেই। ড্রেন মোজে আছে। পৌরসভাকে বারে বারে জানিয়ে কোন কাজ হয় না।এখন ভোট চাইতে এসেছেন? ভোটের সময় কোনো দলকে ভোট দেবো না। শাসক দলকে তো কোনও ভাবে ভোট নয়”। তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের প্রচারের সময় তার মুখের সামনে স্থানীয় মহিলাদের প্রতিবাদ বিক্ষোভ। ঘটনা সোনারপুর রাজপুর পৌরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের। মহিলাদের ওই প্রতিবাদ শুনে প্রথমত চুপ করে থাকার পর, পরে সায়নী জানান জল প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গেছে, রাস্তা করা হচ্ছে ড্রেন পরিষ্কার করে দেওয়া হবে। সায়নী ঘোষের সামনে এই ঘটনাওকে নিয়ে কটাক্ষ করতে ছারেন নি যাদবপুর লোকসভার বিজেপির প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন এলাকার মানুষদের বক্তব্য যথার্থ, তিনি তা সমর্থন করেন। কারণ আগের যিনি সাংসদ ছিলেন তিনি এলাকায় আসেননি। যাদবপুর লোকসভার কোনও উন্নয়ন হয়নি। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র এক সময় সিপিআইএমের শক্ত ঘাঁটি ছিল। ২০০৯ সালে সেই ঘাঁটি দখল করে তৃণমূল। এই কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র। বিধানসভা কেন্দ্রগুলি হল- বারুইপুর পূর্ব ও পশ্চিম, সোনারপুর উত্তর ও দক্ষিণ, যাদবপুর, টালিগঞ্জ ও ভাঙড়। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে আনুমানিক ২২ লক্ষ ৭৩ হাজার ৪৭৯ জনের বসবাস। এর মধ্যে ৪২.২৪ শতাংশ গ্রামে এবং ৫৭.৭৬ শতাংশ মানুষ শহরে বসবাস করেন। মোট ভোটদাতার সংখ্যা হল ১৮,১৬,৮৫৭।