
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি মানেই এসে গেছে শীত। আর শীতের মরশুমে রুক্ষ ত্বক, হাত, পা, ঠোঁট ফাটার মতো নানান সমস্যা লেগেই থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন শীতে অনেকেই জল কম খান, ফলে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতার অভাবে শুষ্ক ত্বক এবং ঠোঁট ফাটার সমস্যা হয়।এই শীতে আপনার ঠোঁট কে কোমল এবং সুন্দর রাখতে নীচে রইলো ৫ টি সেরা টিপস।
১. প্রচুর জল খানঃ
শীতকালে প্রায় প্রত্যেকেই প্রয়োজনের তুলনায় কম জল খান। ফলত, ডিহাইড্রেশন হয়, যার থেকে রুক্ষ ত্বক, ঠোঁট ফাটা, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা তৈরি হয়। শীতকালে সঠিক মাত্রায় ঈষদুষ্ণ গরম জল পান করলে শরীরে জলের চাহিদা পূরণ হওয়ার পাশাপাশি আর্দ্রতাও বজায় থাকে, ফলে সহজেই হাত, পা, ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
২. জিভ দিয়ে ঠোঁট চাটা থেকে বিরত থাকুন:
শীতকালে অনেকেই বার বার জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজান।এটি একটি মারাত্বক বদ অভ্যাস। লালাতে থাকা এনজাইম ঠোঁটের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে, ফলে প্রত্যেক বারই লালা শুকানোর সঙ্গে সঙ্গে এটি ঠোঁটকেও শুকিয়ে দেয়। তাই শীতে ঠোঁটকে সুন্দর রাখতে এই বদভ্যাস থেকে বিরত থাকুন।
৩. পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা মেনে চলুন।
বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ খাদ্যাভাস সুস্বাস্থের প্রতীক। প্রোটিন, ভিটামিন,খনিজ লবণ ইত্যাদি স্বাস্থ্যকর উপাদান আমাদের ত্বক, ঠোঁট এবং চুলকে লাবণ্যময় করে তুলতে বিশেষ সাহায্য করে। কাজেই শিতের মরশুমি ফল শাক সবজি ইত্যাদি সুষম খাওয়ার খাওয়া ঠোঁটের জন্য বিশেষ উপকারী।
৪. ঠোঁটের ম্যাসাজ এবং স্ক্রাব:
সুন্দর নরম ঠোঁটের জন্য স্ক্রাব করা একান্ত আবশ্যক। হাল্কা স্ক্রাবার দিয়ে ঠোঁট স্ক্রাব করলে ঠোঁটের উপরের অংশের মরা শুকনো চামড়ার স্তর উঠে যায়, ফলে ঠোঁট থেকে সতেজ এবং মোলায়েম। তবে, স্ক্রাবিং এর পর অবশ্যই নারকেল তেল বা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করে ভালো করে ঠোঁট ম্যাসাজ করতে ভুলবেন না কেনো!
৫. রাতে ঠোঁটে যত্ন:
জেগে থাকলে বুঝতে পারি আমাদের ঠোঁট শুকিয়ে যাচ্ছে কিন্তু ঘুমন্ত অবস্থায়? তাই রাতেও নিতে হবে ঠোঁটের সঠিক যত্ন। তাই, শীতে রাতে শুতে যাওয়ার সময় অবশ্যই ব্যবহার করুন লিপবাম বা লিপ ক্রিম। এগুলি আপনার ঠোঁটকে সারা রাত আর্দ্র এবং কোমল রাখতে সাহায্য করে।
কখনও কখনও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার দরকার হতে পারে। ওপরের টিপসগুলো খেয়াল করার পরেও যদি প্রতিকার না পান তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যান।