
নিজস্ব সংবাদদাতা : সন্ত্রাসবাদে মদতদাতা পাকিস্তানের অবস্থান স্পষ্ট করতে বিশ্বব্যাপী ভারতের প্রতিনিধিদলের সফর শেষে কলকাতায় ফিরলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার মধ্যরাতেই কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছন তিনি। কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে ২ সপ্তাহে দেশের বাইরে ছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। এশিয়ার পাঁচটি দেশে ভারতের বার্তা তুলে ধরেন। অন্যদিকে এই সফর নিয়েই বুধবার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের। জানা যাচ্ছে, এই বৈঠকে হাজির থাকছেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই গরহাজিরার কথা বিদেশ দফতরকে জানিয়েছেন তিনি। কেন তিনি এই বৈঠকে থাকতে পারছেন না কারণ জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, গত ২১ মে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জাপান রওনা দিয়েছিলেন অভিষেক। কেন্দ্রীয় সরকারের গঠিত সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে বিদেশ সফর শেষে কলকাতায় ফিরেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করতে এই প্রতিনিধি দলটি জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া সফর করেছে।
সফর শেষে মঙ্গলবার মধ্যরাতে কলকাতা বিমানবন্দরে পা রাখেন অভিষেক। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, বুধবার কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে প্রতিনিধিদের যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, তাতে তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না।
এছাড়াও তিনি জানান, পাঁচ দেশে সফর নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন , “প্রায় ১৫ দিন পাঁচটা দেশে আমরা গিয়েছি। নানা বৈঠক হয়েছে। বুধবার বিদেশমন্ত্রী একটি বৈঠক ডেকেছেন। যে প্রতিনিধি দলগুলি গিয়েছিল, তাদের সঙ্গে উনি আলাদা করে বসতে চান। আমি বুধবারের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারব না। কেন তিনি এই বৈঠকে থাকতে পারছেন না? উত্তরে তিনি বলেন, পূর্ব নির্ধারিত কিছু কর্মসূচি রয়েছে। যেহেতু আমি অনেকদিন দেশের বাইরে ছিলাম। এর মধ্যে কালীগঞ্জে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়েছে। আমার এলাকার নিজস্ব কিছু কাজকর্ম রয়েছে। আমি সেগুলো নিয়ে আগামী ২-৪ দিন ব্যস্ত থাকব। আমি বিদেশমন্ত্রককে জানিয়েছি, আমার যা মতামত লিখিতভাবে জানাব। প্রসঙ্গত, ভারতের বার্তা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে সাতটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে নয়াদিল্লি। এই সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলগুলির লক্ষ্য ছিল আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত বিষয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্টভাবে তুলে ধরা এবং কূটনৈতিক সহমত গঠন।