
শঙ্কর সেনগুপ্ত, আলিপুরদুয়ার : নদী গর্ভে মিশে গেছে ভিটে মাটি। মাথার ছাদ হারিয়ে ভাড়া বাড়িতেই দিন কাটছে জয়গাঁর ছোট মেচিয়া বস্তির মানুষজন। রাক্ষুসে তোর্ষা নদীর ভাঙ্গনে আজ তাঁরা সর্বহারা। ভাঙনের পর বছর পেরিয়ে গেছে। তিস্তা-তোর্য়া দিয়ে বয়ে গেছে কযেক কিউসেক জল. কিন্তু মেলেনি ক্ষতিপূরণ। এবার ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবি তুলে আলিপুরদুয়ারের জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। তাঁরা জানান, আরও ৭০ থেকে ৭৫ টি বাড়ি নদী গর্ভে তলিয়ে যেতে বসেছে। এদিন প্রায় শতাধিক মহিলা ও পুরুষ মিলে জেলা শাসকের কাছে তাদের দাবি নিয়ে স্মারকলিপি দিতে জেলা প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্স কন্যায় উপস্থিত হয়েছিলেন। এলাকার স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য হরকা বাহাদুর সুনার বলেন, “ ৪৫ টি বাড়ি দুই বছরে তলিয়ে গেছে। আরো ৭০ থেকে ৭৫ টি বাড়ি নদী গর্ভে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এই অবস্থায় ভিটে মাটি হারিয়ে প্রচুর মানুষ ভাড়া বাড়িতে থাকছেন। জমি জায়গা নদী গর্ভে চলে যাওয়ায় সকলেই এখন দিন মজুরে পরিনত হয়েছেন। তাই আমরা পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছি।”
উল্লেখ্য, ভুটান থেকে ধেয়ে আসা তোর্সা নদী প্রতিবছর ডুয়ার্সের চা-বলয়ে ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালায়। ২০২৩ -এ খরস্রোতা তোর্সার জলে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। ওই সব এলাকা থেকে মানুষজনকে উদ্ধার করতে সেনা নামানো হয়েছিল। আবার বর্ষা আসছে। তার আগেই এবার তোর্সার পারে থাকা মানুষেরা ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবিতে সরব হলেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের জেলা শাসক ।