
নিজস্ব সংবাদদাতা : নেতাজী ইন্ডোরে দলীয় জনসভায় দাঁড়িয়ে অমিত শাহ্ বললেন, ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে আসছে বিজেপি সরকার। নিজস্ব ভঙ্গিমায় মোদীর লাইনে গিয়ে তিনি তোপ দাগলেন তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে ধরে অমিত বলেন, “এই বাংলায় ভোটের সময় এবং দিদির জয় পাওয়ার পরে শ’য়ে শ’য়ে বিজেপি কর্মীকে হত্যা করা হয়”। বিজেপি কর্মীদের চাঙা করতে তিনি আরও বলেন “দিদি, কতদিন বাঁচাবেন এদের ? আমি বলছি, আপনার সময় এ বার শেষ হয়ে এসেছে। ২০২৬ সালে বিজেপি সরকার গঠন করবে। আমি মণ্ডল পদাধিকারীদের আশ্বাস দিচ্ছি, তৃণমূল সরকার বিদায় নিলেই আমাদের কর্মীদের হত্যায় অপরাধীদের মাটির তলা থেকে খুঁজে বের করে শাস্তি দেব”। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন, “দিদি, সাহস থাকলে, হিংসা ছাড়া নির্বাচন করিয়ে দেখুন। আপনার জামানত জব্দ করে দেবে বাংলার জনতা”।

সম্প্রতি আলিপুরদুয়ার জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের প্রসঙ্গ টেনে সাংবাদিকদের কাছে সিঁদুর নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।রবিবার নেতাজী ইন্ডোরের সভায় সেই প্রসঙ্গে টেনে শাহ বলেন, “আমি বাংলার মাতৃশক্তির কাছে অনুরোধ করছি, আগামী নির্বাচনে অপারেশন সিঁদুরের উপর প্রশ্ন তোলা মমতাজিকে সিঁদুরের দাম বুঝিয়ে দিন। মা-বোনেরা বুঝিয়ে দিন, সিঁদুরের অপমান করার অর্থ কী!” শুধু এই নয়, অনুপ্রবেশ ইস্যুতেও মমতাকে দুষলেন অমিত। বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের দেশের সীমান্তকে বাংলাদেশিদের জন্য খুলে দিয়েছেন। তাঁর আশীর্বাদে অনুপ্রবেশ হচ্ছে। আপনারাই বলুন, অনুপ্রবেশ আটকানো উচিত কি উচিত নয়? দিদি কি আটকাতে পারবেন? ভাইপো আটকাতে পারবেন? অনুপ্রবেশ শুধুমাত্র পদ্ম সরকার আটকাতে পারবে”।
শুরু থেকেই অমিত শাহ্ আক্রমণাত্মক ছিলেন। নেতাজি ইন্ডোরের মঞ্চে উঠেই দলীয় নেতা কর্মীদের সামনে গর্জে উঠলেন, বললেন, “এই ভূমি বছরের পর বছর ধরে ভারতকে পথ দেখিয়েছে। জ্ঞান, বিজ্ঞান, ধর্ম, স্বাধীনতা সংগ্রাম হোক, প্রতিটি ক্ষেত্রে বছরের পর বছর ধরে বাংলা ভারতের নেতৃত্ব দিয়েছে। সেই বাংলাতেই অনেক বছর ধরে কমিউনিস্টদের শাসন ছিল। তার পরে মা-মাটি-মানুষের স্লোগান দিয়ে মমতাদিদি আসেন। তিনি এই মহান বঙ্গভূমিকে আজ অনুপ্রবেশ, দুর্নীতি, মহিলাদের উপর অত্যাচার, অপরাধ, বোমা বিস্ফোরণ এবং হিন্দুদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কেন্দ্রে পরিণত করেছেন।”