অরূপ পোদ্দার, শিলিগুড়ি:
দীর্ঘ তালবাহানার পর অবশেষে শিক্ষিকা হিসাবে স্কুলে যোগদান করলেন শিলিগুড়ির অনামিকা রায়। বৃহস্পতিবার রাজগঞ্জের হরিহর হাই স্কুলে তিনি চাকরিতে যোগদান করেন। অনামিকার চাকরি পাওয়ার লড়াইটা সহজ ছিল না। প্রথমে চাকরি পেয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। তিনি অনেক দিন চাকরি করলেও শিলিগুড়ি মহকুমার ববিতা সরকার চাকরিটা তার প্রাপ্য বলে আদালতের দ্বারস্থ হন। আইনি লড়াইয়ের পর পরেশ অধিকারীর মেয়ের চাকরিটা পান ববিতা সরকার। কিছুদিন পরে শিলিগুড়ির বাসিন্দা অনামিকা রায় ওই ববিতা সরকারের চাকরিটা তার প্রাপ্য বলে আইনের দ্বারস্থ হন। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর চাকরি চলে যায় ববিতা সরকারের। প্রায় চার মাস আগে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অনামিকাকে স্কুলের চাকরিতে নিয়োগ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু ওই নির্দেশের পর প্রায় চার মাস কেটে গেলেও নিয়োগপত্র হাতে না পাওয়ায় অনামিকা ফের আইনজীবী মারফত বিষয়টি হাইকোর্টের গোচরে আনেন।
এদিকে, চাকরি দিতে এত সময় লাগছে কেন তা জানতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে হলফনামা চেয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পর্ষদ থেকে আদালতকে জানানো হয় বুধবারের মধ্যে অনামিকা রায়কে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। সেই মতো অনামিকা মঙ্গলবার কলকাতায় গিয়ে নিয়োগপত্র নিয়ে আসেন।বৃহস্পতিবার সেই নিয়োগপত্র নিয়ে স্কুলে যোগদান করেন।
অনামিকা বলেন, চাকরি পাওয়ার লড়াইটা সহজ ছিল না। তবে পরিবারসহ সকলেই আমাকে সহযোগিতা করেছেন অবশেষে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় খুব ভালো লাগছে।
উল্লেখ্য অনামিকা রায় একজন রাষ্ট্র বিজ্ঞানের শিক্ষক। রাজগঞ্জের হরিহার হাই স্কুলের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান অর্থাৎ পলিটিকাল সায়েন্স পড়াবেন তিনি।