
জয়ন্ত সাহা, আসানসোল : তখনও আসানসোল শিল্পাঞ্চল হয়ে ওঠেনি। হয়ে ওঠেনি কোনও ঝাঁ চকচকে শহর। ছিল আসান গাছ আর শাল গাছের আধিক্য। সে সময় বর্গীহানা রুখে দিয়েছিলেন কাশীপুরের রাজার জায়গীরদার কোরী রামকৃষ্ণ রায়। আসান গাছের আধিক্য থাকায় জায়গার নাম হয়েছিল আসানসোল, মত এমনটাই। আর এই আসানসোল গ্রামে প্রথম দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল রামকৃষ্ণ রায়ের হাত ধরে।
গ্রাম্য কমিটির সদস্য শচীন রায় জানান, চলতি বছরে ২৯৩ বছরে পা দিয়েছে আসানসোলের বড় মায়ের পুজো। সেই শুরুর দিন থেকে এখনো পর্যন্ত সাবেকী প্রথা মেনে পুজো হয়ে আসছে এখানে। এই পুজোয় সিঁদুর খেলায় বিশেষত্ব রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। শিল্পাঞ্চলের কয়েক হাজার মহিলা এখানে সিঁদুর খেলায় অংশগ্রহণ করেন।
যদিও ধীরে ধীরে পরিবার বেড়েছে, বেড়েছে পুজোর সংখ্যা। সব মিলিয়ে মোট এখন নটি দুর্গাপুজো হয়। তবে আজও আদি দেবী বড় মায়ের পুজোয় মেতে ওঠেন সকলে। আসানসোল গ্রাম কমিটি এবং একটি দেবোত্তর ট্রাস্টের মাধ্যমে এই নয়টি পূজা পরিচালিত হয়। পরিবারের যে সমস্ত সদস্যরা বর্তমানে বাইরে থাকেন, পড়াশোনা করেন, তারা সকলেই পূজোর সময় ঘরে ফিরে আসেন। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, এখানে যে নটি দুর্গা পুজো হয়, সেখানে একসঙ্গে নটি নবপত্রিকা আনা হয়। বিসর্জন হয় একসঙ্গে। এই নিয়ম বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে।