
জয়ন্ত সাহা, আসানসোল : বাংলার বন্যা রোধে হাতিয়ার হতে পারত ডিভিসির বোকারো ও বেলপাহাড়ি ড্যাম. কিন্তু জমি জটে আটকে সেই কাজ. মাইথন এবং পাঞ্চেত ড্যাম তৈরীর সময় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, এই দুটি ড্যামের উপর চাপ কমানোর জন্য আরও পাঁচটি ড্যাম তৈরি করা প্রয়োজন। বরাকর নদ এবং দামোদর নদের ওপর সেই ড্যামগুলি তৈরি হওয়ার কথা। এই ড্যামগুলি তৈরি হওয়ার কথা তৎকালীন বিহার অধুনা ঝাড়খন্ড রাজ্যের ওই দুই নদের উপর। মাইথন এবং পাঞ্চেত ড্যাম ছাড়াও তেনুঘাট, তিলাইয়া ও কোনার ড্যাম তৈরি হলেও এখনো পর্যন্ত তৈরি হয়নি দামোদর নদের ওপর.
পাঞ্চেত ড্যামের থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার আগে বোকারো ড্যাম এবং বরাকর নদের উপর মাইথন ড্যামের থেকে ৬০ কিলোমিটার আগে বেলপাহাড়ি ড্যাম। যেহেতু মাইথন এবং পাঞ্চেত ড্যামের বয়স ৭০ বছরের বেশি হয়ে গেছে তাই এখানে ড্রেজিং বা পলি সরানোর কাজও সহজ নয়। কারণ, পলি সরানোর পদ্ধতি পরিবেশবান্ধব একেবারেই নয়। একটি ড্যামের পুরোপুরি পলি সরাতে গেলে আনুমানিক চার হাজার কোটি টাকা খরচ পড়ে। তার পরিবর্তে তার অর্ধেক খরচে একটি পূর্ণ ড্যাম তৈরি হয়ে যায়।
ডিভিসি এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর (সিভিল) অঞ্জনি কুমার দুবে বলেন, পলি সংস্কারের কাজ হলে মূল সমস্যা এত বিশাল পরিমাণ পলি রাখা কোথায় হবে ?
ডিভিসির নতুন ড্যাম তৈরির সঠিক পরিকল্পনার অভাব এবং জমি জটের কারণে ঝাড়খণ্ডের উপর ডিভিসি ওই দুটি ড্যাম এখনো তৈরি করতে পারেনি। অথচ ওই দুটি ড্যাম তৈরির জন্য ডিপিআর তৈরি করে পাঠানো হয়েছিল। সিদ্ধান্ত হয়েছিল বিশ্ব ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সেই ড্যাম তৈরি হবে। কিন্তু সেই প্রকল্প এখনো অধরাই থেকে গেছে। তাই ঝাড়খণ্ডে অধিক বৃষ্টিপাতের ফলে দামোদর এবং বরাকর হয়ে বিশাল জলস্রোত মাইথন, পাঞ্চেত হয়ে একেবারে পশ্চিমবঙ্গের নদীতে দুকূল ছাপিয়ে যায়। বানভাসি হতে হয় হুগলি হাওড়ার মতো এলাকাগুলিকে।