
জয়ন্ত সাহা, আসানসোল : আইপিএস অফিসার মনোজ কুমার শর্মার জীবনকাহিনী অবলম্বনে তৈরি ‘টুয়েলভথ ফেল’ সিনেমা নজর কেড়েছে দর্শকদের। এই সিনেমায় দেখানো হয়েছে, ইচ্ছাশক্তি থাকলে পরিস্থিতি কোনও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। তারই প্রকৃত উদাহরণ রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে। একদল পড়ুয়া। ধ্রুব দঙ্গল অ্যাথলেটিক ক্লাব অ্যা্ড কমপিটিটিভ লাইব্রেরির টালির ঘরে তারা কোচিং করেন। ক্লাসে কোনও শিক্ষক নেই। কিন্তু লক্ষ্য রয়েছে। অনেকেই সেই লক্ষ্যভেদ করেছেন। কেউ গিয়েছেন নীতি আয়োগের উচ্চপদে। কেউ আবার কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের কোনও সংস্থার উচ্চ পদস্থ কর্মী। সেই ঠিকানা অবলম্বন করেই আরও বেশকিছু যুবক এগিয়ে এসেছেন যারা নিজেদের লক্ষ্য পূরণের জন্য নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।
কোচিংয়ে রয়েছেন প্রায় ২০০ জন ছাত্র. কারোর লক্ষ্য আইপিএস হওয়ার। কারোর আইএএস। নামিদামি কোচিং এর বদলে তারা নিজেরাই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
কোচিংয়ের ছাত্র আদিত্য কুমার পাঠক জানান, একদিন কোনো ছাত্র হয়ে উঠেন শিক্ষক। তৈরি করেন প্রশ্নপত্র। নেওয়া হয় মক টেস্ট। আবার পরদিন তিনিই হয়ে যান ছাত্র। অন্য কোনও ছাত্র উঠে আসেন শিক্ষকের ভূমিকায়। কোচিংয়ে ভর্তি হতে জমা দিতে হয় ৭৫০ টাকা এবং মাইনে মাত্র ৪০ টাকা.
এভাবেই নিজেদের লক্ষ্য পূরণের যাত্রা চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন একদল যুবক। তাদের স্বপ্ন পূরণের আপাতত ঠিকানা ধ্রুব দঙ্গল অ্যাথলেটিক ক্লাব অ্যান্ড কমপিটিটিভ লাইব্রেরির এই টালির চালের ঘর।