
ওঙ্কার ডেস্কঃ বাংলাদেশে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ছেটে ফেলার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে বাড়ানো হচ্ছে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা। হাসিনা সরকার পতনের পর অন্তবর্তী সরকারের দায়িত্ব নিয়েই সে দেশের সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করেন মুহাম্মদ ইউনূস। উচ্চ পর্যায়ের এই কমিটি মনে করছে প্রধানমন্ত্রীর হাতে একচ্ছত্র ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়া উচিত। তাঁরা চাইছেন, রাষ্ট্রপতির হাতে কিছু ক্ষমতা দিয়ে একটা ভারসাম্য আনতে। তবে ভারসাম্যের চিত্রটি ঠিক কেমন তা অবশ্য জানা যায়নি বাংলাদেশের সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশিত এই খবরে। ওই প্রতিবেদনে ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, ক্ষমতার ভারসাম্য নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি সহমত প্রকাশ করেছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চাইছে আগামী মাসে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসতে।
বাংলাদেশের চলতি নিয়ম অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী ও দেশের প্রধান বিচারপতির নিয়োগ ছাড়া বাকি সব ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নিয়েই কাজ করতে হয় সে দেশের রাষ্ট্রপতিকে। এ ক্ষেত্রে কমিশন প্রস্তাব দিয়েছে, আরও কিছু সাংবিধানিক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়াই যাতে রাষ্ট্রপতি নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এমন কি, জরুরি অবস্থা ঘোষণার ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোর সুপারিশ করেছে কমিশন। এছাড়া, নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা এবং বিচার বিভাগকে নিয়ে একটি ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। ওই কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই যাতে রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারেন, সে প্রস্তাবও দিয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিশন।