
ওঙ্কার ডেস্ক: গত বছর ৫ আগস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে শেখ হাসিনা পালিয়ে আসার পর থেকে একাধিক অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। কখনও সেদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলা তো কখনও আবার মাজার ভাঙচুর করা হয়েছে। মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকার সেই ঘটনায় এখনও রাশ টানতে পারেনি। তা ফের একবার প্রমাণিত হল রবিবার বরগুনার আমতলী উপজেলায় ‘ইসমাইল শাহ বাবার’ মাজারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায়। মাজারে বার্ষিক ওরস চলাকালীন এই হামলা চলে বলে জানা গিয়েছে। হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২০ জন আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রবিবার মধ্যরাতে বরগুনার আমতলী উপজেলার বটতলা সড়কের পাশে ‘ইসমাইল শাহ বাবার’ মাজারে একদল উন্মত্ত জনতা লাঠিসোটা নিয়ে ভাঙচুর চালায়। মাজারের বিভিন্ন আসবাব, ঘরের টিন ও দেয়ালের ইট খুলে ফেলার পাশাপাশি চালানো হয় লুটপাট। শুধু ভাঙচুর করে ক্ষান্ত হয়নি তারা। এক সময় মাজারে অগ্নিসংযোগ করে। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে মাজার। ‘তৌহিদি জনতা’ নাম নিয়ে এমন হামলার ঘটনায় কার্যত অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয় এলাকায়। ‘ইসমাইল শাহ বাবার’ মাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, ‘রাত ১২টার পর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি ওমর ফারুকের নেতৃত্বে আড়াই থেকে ৩০০ লোক মাজারে হামলা করে। পরে তারা মাজারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় তারা রান্না করা খিচুড়ি ফেলে দেন।’
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম এ বিষয়ে বলেন, ‘দুই পক্ষকে শান্ত থাকতে বলেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। বিষয়টি তদন্তে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি।’
উল্লেখ্য, গত ১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের প্রেস উইং জানিয়েছিল, গত ৪ আগস্টের পর থেকে ওই সময় পর্যন্ত বাংলাদেশে ৪০টি মাজারে ৪৪ বার হামলা চালানো হয়েছে। সেই হামলাগুলির মধ্যে মাজার ও দরগাহে ভাঙচুর, ভক্তদের ওপর হামলা, সম্পত্তি লুট এবং আগুন লাগানোর মতো ঘটনা রয়েছে। সরকার বদল হলেও বাংলাদেশে অশান্তি কবে থামবে সেই প্রশ্ন এখন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।