
ওঙ্কার ডেস্ক: একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পথচলা শুরু করল বাংলাদেশের ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’। মঙ্গলবার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নয়া রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব। শ্রদ্ধা নিবেদনে সামিল ছিলেন নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম-সহ জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ নামের রাজনৈতিক দলের জন্ম হয়েছে জুলাই গণঅভ্যূত্থানের পর শেখ হাসিনার পতনের ফলে। অনেকে অভিযোগ করেছিলেন বাংলাদেশের নয়া এই রাজনৈতিক দল জামাত গোষ্ঠী দ্বারা প্রভাবিত। কিন্তু মঙ্গলবার এই দলের নেতৃত্ব দলের সাংগঠনিক পথচলা শুরু করলেন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর মাধ্যমে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, নাহিদ ইসলাম এবং সারজিস আলমরা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও সেদেশের মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করেননি। মুক্তিযুদ্ধের লড়াইকে ধারণ করে তাঁরা নতুন রাজনীতির পথে এগোচ্ছেন। যে রাজনীতিতে ২০২৪ সালের শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ছাত্র ও জনতার লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা রয়েছে।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘পুরোনো সংবিধান এবং পুরনো শাসন কাঠামো রেখে একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়। কেবলমাত্র সরকার পরিবর্তন করে আমাদের জনগণের যে কল্যাণ সেটি সম্ভব নয়, প্রকৃত গণতন্ত্র বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।’ গণতন্ত্র ও সাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশের শাসন কাঠামো ও সংবিধান বদল করতে চান বলে জানান তিনি। তাঁর কথায়, ‘আমরা বলছি, যেহেতু ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়েছে, সেহেতু কেবল সরকার পরিবর্তন নয়, শাসন কাঠামোসহ পুরো সাংবিধানিক পরিবর্তন করে নতুন একটি বাংলাদেশের সূচনা করতে চাই, যেখানে গণতন্ত্র, ইনসাফ ও সাম্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
উল্লেখ্য গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ হয় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)। এরপর ২১৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে দলটি। কমিটিতে যেমন বাম মনস্ক ব্যক্তিরা জায়গা পেয়েছেন তেমন ডানপন্থী প্রাক্তন ছাত্রনেতারা রয়েছেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী থেকে আসা ব্যক্তিরাও রয়েছেন কমিটিতে।