
ওঙ্কার ডেস্ক: ‘বাংলাদেশে নৈরাজ্যের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেই সঙ্গে মহিলারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।’ এমনটাই অভিযোগ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। নারী দিবসের আগের দিন শুক্রবার তিনি এমন মন্তব্য করেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে মহম্মদ ইউনুস সরকারের আমলে মহিলাদের অবস্থা যে ভালো নয়, তা সেদেশের রাজনৈতিক দলের কথায় স্পষ্ট।
ঠিক কী বলেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর? একটি বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, রাস্তাঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীদের বিভিন্নভাবে হেনস্থা করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধরনের প্রবণতা বিপজ্জনক। এসব ঘটনা ঘটিয়ে নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। নারীদের সম্মান রক্ষা এবং নারী স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। যা নারীদের সংবিধানস্বীকৃত অধিকার।’ সেই সঙ্গে নারী নির্যাতন-সহ ‘সার্বিক নৈরাজ্যকর’ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মানুষ উদ্বিগ্ন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব। নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি কঠোর হাতে দমন করে দেশে ন্যায়বিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
নারীর উপর নির্যাতনের প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তুলনা টেনেচেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়নি। বিচার না হওয়ার কারণে নির্যাতনকারীরা আরও উৎসাহিত এবং বেপরোয়া হয়েছে। এখনও সেই পরিস্থিতিই চলছে।’ উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসেন সেদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্র বিক্ষোভের মুখে পড়ে দেশ ছাড়েন তিনি। হাসিনার পর বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।