
শুভম কর্মকার, বাঁকুড়া – বাঁকুড়া জেলা পর্যটনের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র শুশুনিয়া পাহাড়। এই শুশুনিয়া পাহাড়ের পিছনেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে লক্ষ টাকা ব্যয়ে ভরতপুরে পটশিল্পীদের জন্য তৈরি হয়েছিল আদর্শ গ্রাম। পট শিল্পীরা যাতে সুন্দর পরিবেশে নিজেদের পটচিত্রকে পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে পারেন সেই জন্য ২০২৩-এর আগস্ট মাসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে এই আদর্শ গ্রামের উদ্বোধন করেন। তবে উদ্বোধনের সাত মাস পেরোলেও আজও সেখানে নেই ন্যূনতম বিদ্যুৎ পরিষেবা। পটশিল্পী ভাগবত চিত্রকরের দাবি, উদ্বোধনের সময় থেকেই বাড়িগুলিতে বিদ্যুতের ওয়েরিং ও বাল্ব লাগানো থাকলেও বিদ্যুৎ এর লাইন আসেনি। তিনি আরও জানান, এলাকায় সাপের উপদ্রব রয়েছে. সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এখানে থাকলেও সন্ধ্যায় তাঁদের পুরনো ভাঙ্গা বাড়িতে ফিরে যেতে হয়। পাশাপাশি তিনি জানান, পৌষ মাস ছাড়া বিক্রিবাট্টাও তেমন একটা হয় না।
অন্যদিকে, পটশিল্পী পরিবারের সদস্য কাজল চিত্রকর দাবি, বিগত বেশকয়েকদিন ধরে জল সঙ্কটেও ভুগছেন তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে ছাতনা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বঙ্কিম মিশ্র পট শিল্পীদেরকেই দায়ী করেছেন। শিল্পীরা বিনা পয়সায় বাড়ি পেয়েছে তাই তাদের ব্যক্তিগত অনীহার কারণেই এই বৈদ্যুতিক সংযোগ হয়নি, দাবি বঙ্কিম মিশ্রর।
অন্যদিকে, এই নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক স্বপন মুখোপাধ্যায়. তাঁর দাবি, আদর্শ গ্রামের নামে শাসক নেতারা প্রচুর টাকা লুট করেছে।
প্রসঙ্গত, পট শিল্পীদের একটি ঘর, রান্নাঘর ও শৌচালয় বিশিষ্ট ১৫ টি টালির বাড়ি তৈরি করা হয় গত বছর। তবে শিল্পীদের অভিযোগ, উদ্বোধনের পর থেকেই বাড়িগুলিতে টালির বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়ছে। যার জেরে গত বর্ষায় তাদের খুব সমস্যায় পড়তে হয়। তার ওপর বৈদ্যুতিক লাইন না থাকায় চিন্তায় দিন কাটছে পরবিবারগুলোর।