
নিজস্ব প্রতিনিধি:হুগলী জেলায় এখন বৃষ্টির পরিমাণ ত্রিশ শতাংশ কম। কিন্তু ব্যারেজের ছাড়া জলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে আরামবাগ মহকুমায়। ফুঁসছে মুন্ডেশ্বরী। এবং জল বাড়ছে দামোদর, দ্বারকেশ্বরেও। এই মুহূর্তে খানাকুলের রামমোহন ২ গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন জায়গা প্লাবিত হতে শুরু করেছে মুন্ডেশ্বরী নদীর জলে। নিম্নচাপের জেরে লাগাতার বৃষ্টিতে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে আরও। নদীর তীরবর্তী এলাকায় থাকা বেশ কয়েকটি পরিবারকে ইতিমধ্যেই সেকেন্দারপুর বিদ্যালয়ের অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। লাগাতার বৃষ্টির জেরে হাবুডুবু অবস্থা মালদা শহরেরও। ইংলিশ বাজার পৌরসভার একাধিক ওয়ার্ড জলমগ্ন। জলমগ্ন শহরের বেশ কিছু হাই স্কুল এবং মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
আগে থেকেই আবহাওয়া দপ্তর মালদা জেলায় লাল সংকেত জারি করেছে। । বিশেষ করে ইংরেজবাজার পৌরসভার ৩,৪ নম্বর ওয়ার্ড ২৫ নম্বর ওয়ার্ড ২৯ নম্বর ওয়ার্ড ২৪ নম্বর ওয়ার্ড সহ ১১ ১২ ১০ নম্বর ওয়ার্ড প্রায় সমস্ত ওয়ার্ডেই জলমগ্ন। জলে ডুবেছে মালদা জেলা হাই স্কুল এবং ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র হাই স্কুল। তার পাশাপাশি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।অপরদিকে টানা বৃষ্টির ফলে বাঁকুড়া জেলার কৃষি প্রধান এলাকা জলের তলায়। যার ফলে ব্যাপক পরিমাণ ফসল নষ্ট হয়েছে ,এর ফলে বাঁকুড়া জেলার বাজার গুলিতে অগ্নি মূল্য সবজির দাম ।সাধারণ মানুষের মাথায় হাত ক্রেতা থেকে বিক্রেতা সকলেই বলছেন বৃষ্টির কারণেই এই অগ্নি মূল্য। বাজারে ১০০ টাকা কেজি শসা ২০০ টাকা কেজি কাঁচা লঙ্কা। ৮০ টাকা কেজি ফুলকপি ৮০ টাকা কেজি বেগুন এবং ঝিঙ্গা আশি টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।