
নিজস্ব প্রতিনিধি, ওঙ্কার বাংলা: দলেরই এক নেত্রীকে অশ্লীল বার্তা পাঠানোর অভিযোগে এবার সিপিআইএম থেকে বহিস্কৃত হলেন আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী। মহিলা নেত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে দলের অভ্যন্তরীন কমিটি তদন্ত করার পর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে বহিস্কার করা হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে? মুর্শিদাবাদের দলের এক মহিলা নেত্রীর অভিযোগ, সমাজমাধ্যমে তাঁকে নানা ধরণের অশ্লীল বার্তা পাঠিয়েছিলেন সিপিআইএম নেতা বংশগোপাল। যেটিকে ‘ভার্চুয়াল যৌন হেনস্থা’ হিসেবে চিহ্নিত করেন ওই নেত্রী। বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রথমে দলের জেলা কমিটি এবং পরে রাজ্য কমিটির কাছে অভিযোগ করেন। শুধু তাই নয় সিপিএমের রাজ্য সম্মেলনেও এই বিষয়ে চিঠি দেন। দলের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের কাছেও অভিযোগ করেন ওই মহিলা। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে সরব হন সমাজ মাধ্যমে। গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তদন্ত করে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। এর পর ওই নেতাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অসত্য বলে দাবি বংশগোপালের।
উল্লেখ্য, বংশগোপাল চৌধুরী বাম জামানায় মন্ত্রী ছিলেন। ছিলেন আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ। সেই দায়িত্বশীল এক জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠায় তাই বিস্মিত হয়েছেন অনেকে। তবে সিপআইএম এর তরফে জানানো হয়েছে, যৌন হেনস্থা বা এমন ঘটনায় কাউকে প্রশ্রয় দেবে না দল। আর সে কারণেই বহিস্কার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত সিপিআইএম এর আগেও এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলে থাকাকালীন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একই কারণে সাসপেন্ড করেছিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। এখানেই শেষ নয়, এক মহিলা সাংবাদিকের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ তন্ময় ভট্টাচার্যকেও ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এবার কোপ পড়ল বংশগোপালের উপর।