
সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়, উত্তর ২৪ পরগনা : রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিতে অস্বীকার রাজ্যের এক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। সূত্রের খবর বারাসাত নারায়ণের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিতে অস্বীকার করা হয়। এমনই অভিযোগ তুলে সোমবার রাতে গৌরাঙ্গ পাল নামে এক আইনজীবী বারাসাত থানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গৌরাঙ্গ পাল জানিয়েছেন তার স্ত্রী বিগত দেড় বছর ধরে কিডনি সংক্রান্ত অসুখে ভুগছেন। সেই চিকিৎসা করাতে এখনো পর্যন্ত নারায়ণা হসপিটাল কে প্রায় ৪৮ লক্ষ টাকা চিকিৎসা খরচ বাবদ দিয়েছেন তিনি।
কিন্তু দীর্ঘদিন চিকিৎসা খরচের ফলে আর্থিক অবস্থা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। সেই কারণেই রাজ্যের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে ডায়ালিসিস সহ অন্য চিকিৎসার জন্য নারায়ণা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন গৌরাঙ্গ পাল। কিন্তু নারায়ণা হাসপাতাল সেই আবেদন মানতে নারাজ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেয় গৌরাঙ্গ পালের স্ত্রীর চিকিৎসা নগদ টাকা দিয়ে করতে হবে। আইনজীবি গৌরাঙ্গ পালের স্ত্রীর অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। এই মুহূর্তে তার স্ত্রীকে অন্যত্র হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না। অথচ বারাসাত সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর মাধ্যমে তার স্ত্রীর চিকিৎসার সুযোগ করে দিচ্ছে না।
উল্লেখ্য, বারাসাত সুপার স্পেশালিটি হসপিটালের বিরুদ্ধে এর আগেও এই ধরনের অভিযোগ আছে। তবে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ প্রশাসন ও রাজ্যস্বাস্থ্য দপ্তর থেকে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গেছে, এই হসপিটাল রাজ্যের এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য দ্বারা পরিচালিত। সেই কারণেই এই হসপিটালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য দপ্তর ও পুলিশ প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিতে সাহস পায় না।
মঙ্গলবার বারাসাত জেলা আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষস্থানীয় আইনজীবী নেতারা বারাসাত থানার আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন। এর পাশাপাশি বারাসাত এলাকার নাগরিকদের প্রতিনিয়ত হয়রানির তথ্য তুলে ধরেন।