
নিজস্ব সংবাদদাতা: ফের খোঁজ মিলল অঙ্গপাচার চক্রের । চাকরি দেবার নাম করে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়া হত চাকরি প্রার্থীদের। তারপর ভয় দেখিয়ে শরীর থেকে বের করে নেওয়া হত কিডনি। ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসে পড়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে বারুইপুরে।
এরকমই একটি ঘটনায় প্রতারিত হন বারুইপুর থানার হিমচির বাসিন্দা শাসুমদ্দিন লস্কর। গত তিন মাস আগে তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে কাজ দেওয়ার নাম করে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যায় কিছু লোক। বলা হয়, উত্তরপ্রদেশে তাঁর চাকরির বেবস্থা করে দেবে তারা। সেই মতো ওই ব্যক্তিদের বিশ্বাস করে তাদের সঙ্গে যান শামসুদ্দিন। কিন্তু সেখানে যাবার পর থেকেই সন্দেহ বাড়তে থাকে তাঁর। সেখানে একটি হোটেলে তাঁকে আটকে রাখা হয়। ছিনিয়ে নেয়া হয় মোবাইল। তারপর তাঁকে জোর করে কিডনি দিতে বাধ্য করা হয়।
উত্তরপ্রদেশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রোপচার করে তাঁর কিডনি বের করে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ। ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার দুপুরে। বারুইপুর বিডিও অফিসের সামনে তখন দুই ব্যক্তির মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়। ক্রমে তা হাতাহাতিতে পরিণত হলে স্থানীয়রাই থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করে।
শামসুদ্দিনের অভিযোগ, এই কিডনি দেওয়ার জন্য তাঁকে ৭ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা হয়েছিল। কিন্তু ২ লক্ষ টাকা তাঁর একাউন্টে পাঠায় অভিযুক্তরা। দুই অভিজুক্তর একজন শুভ ভট্টাচার্য শুক্রবার বারইপুর বিডিও অফিসে এসেছিলেন সেখানেই তাকে চিনতে পেরে ধরে ফেলেন শামসুদ্দিন লস্করের পরিবারের লোকজন। এই ঘটনার পিছনে কিডনি পাচার চক্রের যোগ রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। তবে একজন ধরা পড়লেও পুলিশের সন্দেহ এই অঙ্গপাচার চক্রের সাথে যুক্ত রয়েছে আরও অনেকে। পুরো ঘটনাটি ক্ষতিয়ে দেখতে তদন্ত করছে বারুইপুর থানার পুলিশ।