
গোপাল শীল, দক্ষিণ ২৪ পরগণা: সদ্যজাত শিশু থেকে শুরু করে মৃত্যুশয্যায় শয্যাশায়ী বৃদ্ধা, নারী শরীর মানেই এখন তা যেন ভোগ্য বিষয়বস্তু। সংবাদের মেনুতে ধর্ষণকান্ড যেন নিত্যকার ডাল, ভাতের মত হয়ে গেছে। মেয়েদের প্রথম জীবনে বাবা এবং দ্বিতীয় জীবনে স্বামী হয় রক্ষক। কিন্তু এই ঘটনায় রক্ষককে ভক্ষক বললে মন্দ হয় না।
বারুইপুর থানা এলাকায় স্বামীর মদতে স্ত্রী ধর্ষিত হয় একাধিকবার। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, তারা অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেও রাজনৈতিক নেতারা তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কের মধ্যে নির্যাতিতা। আপাতত বাড়ি ছাড়া। ভয়ে নানান জায়গায় থাকতে হচ্ছে তাকে। জানা গিয়েছে নির্যাতিতা ও তার স্বামী থ্যালাসেমিয়া বাহক। তাদের দুটি সন্তান হলেও তারা থ্যালাসেমিয়ার কারণে মারা যায়। বংশ রক্ষার জন্য সন্তান চান নির্যাতিতার স্বামী। এইকারণে পাড়ারই তিনজনের রক্তপরীক্ষা করা হয়। তাদেরই একজন রাজীব নস্করকে নির্যাতিতার ঘরে পাঠানো হয়। নির্যাতিতার অভিযোগ তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। ঘটনায় বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। বিষয়টি জানতে পেরে উক্ত রাজিব নস্কর আরও কয়েকজনকে নিয়ে নির্যাতিতার বাড়িতে আসে এবং হামলা চালানোর চেষ্টা করে। নির্যাতিতা ও তার বাপের বাড়ির লোকজন পুলিশকে খবর দিয়ে পুলিশের হাতে অভিযুক্তকে তুলে দেয়। যদিও নির্যাতিতার অভিযোগ রাজনৈতিক নেতারা প্রভাব খাটিয়ে অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে নির্যাতিতা পুলিশ সুপারের দারস্থ হন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করে অভিযোগ জমাও দেন। যদিও তারপরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
পুলিশের কাছে কোনো প্রশাসনিক সহায়তা না পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন নির্যাতিতা। ২০ জুন এই মামলা বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে শুনানি হবে।