
নিজস্ব সংবাদদাতা, বারুইপুর : হাসপাতালের রাস্তা আটকে ঢাউস করে রাখা রাশি রাশি বিল্ডিং মেটিরিয়ালস, ঢুকতে পারে না রোগীদের আবশ্যিক জিনিসপত্র, এমন কি অক্সিজেন সিলিন্ডারের গাড়িও। খোদ বারুইপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যাওযার রাস্তা দখল করে যত্র তত্র রাখা হয়েছে ইট, বালি, পাথর। হাসপাতালের অক্সিজেন সিলিন্ডার গাড়ি আসতে পারছে না। প্রায় দুই ঘন্টা রাস্তাতেই আটকে ছিল সিলিন্ডার ভর্তি গাড়ি। রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ঘটছে দুর্ঘটনাও।
দিনের পর দিন এরকমই পরিস্থিতি বারুইপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পিছনে পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে। অভিযোগ, বারুইপুরে রাস্তা জুড়ে ইমারতি দ্রব্য ফেলে রাখা রোজকার ঘটনা হয়ে উঠেছে। তিতিবিরক্ত এলাকার লোকজন থেকে শুরু করে হাসপাতালে আসা রোগীর পরিবার পরিজন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর এর গোচরে এনেছেন। কাউন্সিলর জানিয়েছেন এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বারুইপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার ধীমান রায় জানান, “শুক্রবার একটি অক্সিজেনের গাড়ি ওই রাস্তায় প্রায় ২ ঘন্টা আটকে ছিল। এতে হসপিটাল কতৃপক্ষকে বেশ অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়েছিল”। তিনি আরও জানান, “এহেন ঘটনা নতুন কিছু নয় এলাকায়। অক্সিজেনের গাড়ি এমনকি অ্যাম্বুলেন্সও আটকে থাকে রাস্তায়”। বিষয়টি লোকাল অথোরিটির সামনে আনতে চান এমন কথাও জানিয়েছেন তিনি। পরবর্তী কালে প্রশাসনের দারস্থ হতে পারেন বারুইপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল।
গাড়ির চালক দেবাশীষ মন্ডল জানায়, সারা বছরই নাকি ওই রাস্তায় যানযট লেগেই থাকে। কখনো রাস্তা তৈরির জিনিস তো কখনও টোটো-অটোর ভীড়। শুক্রবার সকালে হাসপাতালে অক্সিজেন ডেলিভারি দেবার সময় রাস্তায় ইমারতি দ্রব্য পরে থাকায় প্রায় ২ ঘন্টা দেরি হয় তাঁর। অক্সিজেন সিলিন্ডার দিতে দেরি হলে রোগীর প্রাণ সংকটে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা গাড়ির চালক দেবাশীষ মন্ডলের।
প্রমোটারদের এই বাড়বাড়ন্তে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে এলাকাবাসীদেরও। এব্যাপারে প্রশাসন ও সংবাদ মাধ্যমের সাহায্য প্রার্থী তাঁরা। বারুইপুরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অর্চনা মল্লিক বলেন, “কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী নিজের স্বার্থে এমন কাজ করছে”। এ বিষয়ে উচ্চ প্রশাসনকে জানাবেন তিনি, তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে জানালেন।