
ওঙ্কার ডেস্কঃ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে , জাল স্যালাইনে প্রসুতি মৃত্যুর পর থেকেই শোরগোল রাজ্যজুড়ে। রাজ্যের একাধিক জায়গায় এই জাল স্যালাইন ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এবার সেই জাল সাল্যাইন কাণ্ডের ছায়া উত্তরবঙ্গে। শুক্রবার রাতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয় জলপাইগুড়ির কুচুয়া নন্দন পুর গ্রামের গৃহবধূ সান্তনা রায়ের। মৃত প্রসুতির পরিবারের দাবি, ওই প্রসুতিকে জাল স্যালাইন দেওয়া হয়েছে, ময়নাতদন্ত না করে দেহ নেবেননা তারা।
গত কয়েক দিন ধরেই জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ মাতৃমাতে ভর্তি ছিলেন ওই প্রসুতি। শুক্রবার সেখান থেকে স্থানান্তরিত করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভেল্টিনেশনে ভর্তি করা হয় ওই মহিলাকে। সেখানে মৃত্যু ঘটে ওই গৃহবধূর।
মৃতার পরিবারের দাবি, জলপাইগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তা গ্রহণ করতে রাজি হয়নি পুলিশ। এরপর শনিবার জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানায় এসে মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হোক এই দাবি জানায় পরিবার। মৃত প্রসূতিকে সেলাইন দেওয়া হয়েছিলো কি না সেটাই জানতে চায় পরিবার। কিন্তু উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, শিলিগুড়ি পুলিশ ও জলপাইগুড়ি পুলিশ কেউই কোনও সাহায্য করেনি বলে জানিয়েছিল মৃতের পরিবার। শনিবার সকালে অভিযোগ গ্রহণ করেছে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার। তবে ময়নাতদন্তের আগে মুখ খুলতে চায়নি পুলিশ বা হাসপাতালের কেউই।