
শেখ চিকু,কলকাতা : আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস ছিল নবমীর সন্ধ্যায় ঝড় জল হতে পারে। কিন্তু নবমীর দুপুর থেকেই আকাশ অন্ধকার হতে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গে। বৃহত্তর কলকাতার বিভিন্ন জায়গা থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ার খবর এসে পৌঁছেছে। যদিও বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপ এখনো পুরোপুরি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়নি।
বঙ্গোপসাগরে জমাট বাঁধা নিম্নচাপ সোমবার সন্ধ্যায় পরিণত হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ে।
এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে ইরান। এবার নাম হামুন। এখন অব্দি জ্বরের যা মতিগতি তাতে ওড়িশার পূর্বপুকুরের উপর দিয়ে ঝড়ের ঝাপটা প্রবেশ করবে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলে।
ওড়িশা সরকার ইতিমধ্যেই কেওয়নঝড় ময়ূরভঞ্জ ইত্যাদি জেলাগুলিতে লাল সর্তকতা জারি করেছে। নিম্ন উপকূলবর্তী এলাকা গুলি থেকে মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনা উত্তর 24 পরগনা এবং পূর্ব মেদনীপুরের লাগোয়া ধীবর পল্লীগুলিতে লাল সংকেত জানানো হয়েছে। যারা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তাদের ইতিমধ্যে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। করা যাচ্ছে নবমীর সন্ধ্যায় ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হলেও সেভাবে ঘূর্ণিঝড় কলকাতা অথবা দক্ষিণবঙ্গের উপকূল অঞ্চলে অন্তত প্রবল ভাবে আছড়ে পড়বে না। ফলে দীঘা মান্দারমনি শঙ্করপুর তাজপুর অঞ্চলে যারা বেড়াতে গিয়েছেন তাদের সেভাবে আশঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই।