
ওঙ্কার ডেস্ক: মঙ্গলবার সিপিএমের ২৭ তম রাজ্য সম্মেলন থেকে ঘোষণা হয়ে গেল সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্যদের নাম। সেলিমেই ভরসা রেখে তাঁকে ফের দলের রাজ্য সম্পাদক করা হল। সিপিএমের রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়লেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ। অনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল তাঁর বিরুদ্ধে দলে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, সত্যি তাই হল। তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন আরও অনেকে। সিপিএমের পক্ষে জানানো হয়েছে, দলের ২৭তম রাজ্য সম্মেলন থেকে ৮০ জনের নতুন রাজ্য কমিটি নির্বাচিত হয়েছে। এর মধ্যে মহিলা রয়েছেন ১৪ জন। রাজ্য কমিটির প্রথম সভা থেকে রাজ্য সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মহম্মদ সেলিম।
কয়েক মাস আগে সিপিএমের কাছে এক জন মহিলা কিছু অভিযোগ করেছিলেন সুশান্তের বিরুদ্ধে। তখন সুশান্ত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদক। অভিযোগ পাওয়ার পরেই সুশান্তকে ‘ছুটি’তে পাঠিয়েছিল সিপিএম। কিন্তু রাজ্য কমিটি থেকে তাঁকে সরানো হয়নি। এ বার রাজ্য সম্মেলন পর্বেই তাঁকে সরিয়ে দিল দল। এমনকি সুশান্তকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটিতেও রাখা হয়নি।
নতুন কমিটিতে রয়েছেন ১৪ জন মহিলা। সব মিলিয়ে ১১ জন নতুন মুখ। উত্তরবঙ্গের পরিচিত নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য আগেই বাদ পড়েছিলেন শারীরিক অসুস্থতার কারণে। এ বার সেই একই কারণে বাদ পড়লেন জীবেশ সরকারও। বাদ পড়ার তালিকায় রয়েছেন বাঁকুড়ার প্রবীণ নেতা অমিয় পাত্র। বয়সজনিত কারণেই তাঁকে রাজ্য কমিটি থেকে সরিয়ে বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য করা হয়েছে। বাংলা থেকে দলের একমাত্র রাজ্যসভা সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্যকেও রাজ্য কমিটি থেকে বয়সজনিত কারণে সরতে হয়েছে। তবে তাঁকে বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্যও করা হয়নি। নতুন ১১ মুখের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংযুক্তি হুগলির তরুণ ট্রেড ইউনিয়ন নেতা তীর্থঙ্কর রায়।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, যুবনেতা কলতান দাশগুপ্তকে রাজ্য কমিটিতে নিল না সিপিএম। দলের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু বলা হয়নি। তবে, সিপিএমের প্রথম সারির নেতারা একান্ত আলোচনায় বলছেন, আরজি কর পর্বে কলতানের গ্রেফতার হওয়ার কারণেই তাকে নেওয়া হয়নি রাজ্য কমিটিতে।