
ওঙ্কার ডেস্ক : তথ্য গোপন করে যোগ্যদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় বৃহস্পতিবার এই মর্মে তীব্র ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাইকোর্ট।
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু প্রশ্ন তোলেন, ‘প্রায় ৫০০জন চাকরিপ্রার্থী সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েও মেধা তালিকায় স্থান পায়নি। অথচ অযোগ্যদের মেধা তালিকায় স্থান দিয়ে কীভাবে নিয়োগের প্রস্তাব ?’ এ ব্যাপারে এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়। ২০১১ সালে লিখিত পরীক্ষা হয়। কিন্তু সেই লিখিত পরীক্ষাও পরে বাতিল হয়ে যায়। এরপর ফের লিখিত পরীক্ষা হয় ২০১৪ সালের ১৮ মার্চ। ২০১৪ সালের ১১ নভেম্বর ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করে উওর ২৪ পরগনা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। এ বিষয়ে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে একটি মামলা দায়ের হয়। পর্ষদের জমা দেওয়া তালিকার ভিত্তিতে যোগ্যদের নিয়োগের নির্দেশ দেন বিচারপতি। এক্ষেত্রেই আদালতে তথ্য গোপনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। তখন ৫০০ জন আবেদনকারীর পক্ষে আদালতে মামলা করেছিলেন আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী। আদালতে তিনি বলেন, এই ৫০০ জন চাকরিপ্রার্থীদের বেশি নম্বর থাকা সত্ত্বেও, তাঁদের মেধা তালিকায় স্থান না দিয়ে তথ্য গোপন করে অযোগ্যদের স্থান পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরই এবিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করে আদালত।