
ওঙ্কার ডেস্ক: অবশেষে ধরা পড়ল কুলতলির বাঘ। সারারাত চেষ্টা চালিয়ে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ বাঘটিকে খাঁচাবন্দি করেন বনকর্মীরা। সোমবার দুপুরে এই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারটিকে ধরতে গিয়ে জখম হন এক বনকর্মী। তাঁর ঘাড়ে কামড় বসিয়ে জঙ্গলে পালিয়ে যায় বাঘ। তাকে ধরার জন্য কুলতলির একটি সব্জিক্ষেতে দু’টি খাঁচা পাতেন বনকর্মীরা। টোপ হিসাবে রাখা হয় ছাগল। সেই ছাগলের টোপেই ভোর ৩টে ৩০ মিনিট নাগাদ ধরা পড়ে বাঘটি। বন দফতর সূত্রে খবর, খাঁচাবন্দি বাঘটির প্রথমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হবে। তার পরে মঙ্গলবার বাঘটিকে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।
রবিবার রাত থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি ব্লকের মৈপীঠ-বৈকুণ্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা বাঘ দেখতে পান। তারা খবর দেন বনদপ্তর ও থানায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বনদপ্তরের কর্মীরা ও কুলতলি থানার পুলিশ । বাঘটি যাতে কোনও ভাবে রাতের অন্ধকারে গ্রামের মধ্যে ঢুকতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে নাইলনের জাল লাগিয়ে দেওয়াও হয়েছিল জঙ্গল সীমান্তে। ফলে রাতে গ্রামে বাঘ না ঢুকলেও সকালে খবর মেলে, নাইলনের জালের আশপাশেই রয়েছে বাঘ। সেইমতো বাঘকে বন্দি করার পরিকল্পনা করা হয়। স্থানীয় টাইগার টিমের সদস্যেরা বাঘকে বন্দি করতে গিয়েছিলেন। সেই সময়েই টাইগার টিমের এক সদস্য গণেশ শ্যামলের উপর বাঘটি হামলা চালায় এবং কামড়ে ধরে তাঁর ঘাড়। সহকর্মীকে বাঁচাতে দলের বাকি সদস্যেরা লাঠি দিয়ে বাঘটিকে আঘাত করেন। তাতে বনকর্মীকে ছেড়ে দিয়ে জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে পড়ে বাঘটি। আহত বনকর্মী বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।